কিবরিয়া হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ

বাবরকে নেওয়া হচ্ছে সিলেট

শাহাব উদ্দিন শিহাব, সিলেট
 | প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩৪

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ আনা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বাবরকে সিলেটে আনা হবে বলে কারা সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আদালত সূত্রও বলছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এই মামলার দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বাবরকে সিলেটে নিয়ে আসা হবে।

তবে সিলেটের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল ঢাকা টাইমসকে বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা রয়েছে। সে কারণে তাকে সিলেট কারাগারে আনা হতেও পারে।

তার কাছে এখনো এমন সংবাদ আসেনি। সংবাদ আসার পর নিশ্চিতভাবে জানা যাবে বলেও জানান জেল সুপার।

আদালত সূত্র আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি নেতা বাবরকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির না করায় মামলাটির বিচার শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ করে গত এক বছরের মধ্যে একবারও বাবরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির না করায় মামলা নিষ্পত্তিতে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।

নির্ধারিত দিনে সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ করতেও পারেননি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজাউল করিম।

আদালতের পিপি কিশোর কুমার কর বলেন, ট্রাইব্যুনাল আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে দিয়েছে। ওই দিন লুৎফুজ্জামান বাবরকেও হাজির করা হতে পারে।

বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারে জড়িত থাকার দায়ে ওই দুই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদ- পেয়ে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের এই প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রী।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হবিগঞ্জ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল হক চৌধুরী, জিকে গউছ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহর আদালত মামলাটির দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠান।

২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :