হাসপাতালে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ রোগীরা

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:১০

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রোগ সারাতে এসে চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন রোগীরা। রেহাই মিলছে না তাদের সেবায় নিয়োজিত আত্মীয়-স্বজন এমনকি রোগী দেখতে হাসপাতালে আসা দর্শনার্থীদেরও। যখন তখন চুরি হচ্ছে অর্থকড়ি, মোবাইল ফোন, অলঙ্কার। খোয়া যাচ্ছে রোগীর চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ-পথ্য। বিশেষ করে হাসপাতালের টিকিট ও ওষুধ কাউন্টারের সামনে প্রতিদিনই ঘটছে কোনো না কোনো চুরির ঘটনা।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের সামনে এক নারীর কাছ থেকে তার ভ্যানিটি ভ্যাগ ছিনতাইয়ের সময়  মোবারক হোসেন নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতিদিনই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং টিকিট কাউন্টারের সামনে রোগীদের কাছে নগদ অর্থ, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। চোরের হাত থেকে বাঁচতে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাও কোনো কাজে আসছে না।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, সাধারণ ওয়ার্ড এমনকি কেবিনের ভেতরে প্রায় প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসাধীন হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালেও হাসপাতালের বেড থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়। সুমন এবং শুভ নামে দুই যুবক জানান, একই দিন দুপুরে হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে দুই নারীর ব্যাগ থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকা চুরি করে নেয় চোরচক্র। বহিরাগত লোকজন রোগীর স্বজন সেজে ওয়ার্ড-কেবিনে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে অনায়াসে সরে পড়ছে।

গত দেড় মাসে এ ধরনের ২০টিরও বেশি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরেও এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে এটা নিয়ে প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আসিবুল আহসান  চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘হাসপাতালে এসব চুরি রোধ করার জন্য আমরা বিভিন্ন স্থানে একাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। তবুও এসব চুরির ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি জানান, রোগী ও তাদের স্বজন সেজে চোরেরা ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এজন্য সিসি ক্যামেরায়ও তাদের শনাক্ত করা কঠিন। চুরি ঠেকাতে পাস বই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে নিয়মিত পুলিশ সদস্যদের দিয়ে টহল দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সুপারও এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।