অসুস্থ মোজাম্মেলকে ২১ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৪

শেরপুর প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

শেরপুর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের চিকিৎসার জন্য ২১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ কার্যালয়ে অসুস্থ এই আওয়ামী লীগ নেতার হাতে ২০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং চিকিৎসা বাবদ নগদ এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন দলীয় সভাপতি।

এসময় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেরপুর-১ (সদর) আসনের এমপি আতিউর রহমান আতিক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাগণসহ অসুস্থ মোজাম্মেল হকের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কথা বলে তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। পরে আবার যোগাযোগ করতে বলেন। সেই মতো যোগাযোগ করলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার সকালে ঢাকা টাইমসকে এসব জানান মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে মাহাদী মোহসানুল হক লেমন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেয়ে আমরা খুবই খুশি ও আনন্দিত। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি যেন তার সেবার মাধ্যমে বাংলার প্রতিটি ঘরকে সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে তুলতে পারেন।’

অনুভূতি জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘জীবনের শেষ প্রান্তে এসে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সরকারি অনুদান পেয়ে আমি আনন্দিত।’ পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার প্রতি অপার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোজাম্মেল হক ২১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। গত দেড় বছর ধরে তিনি অসুস্থ। অর্থ সঙ্কটে দিন কাটছিল তার। তিনি লিভারের জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। এক সময়ের তুখোড় বক্তা এখন স্পষ্টভাবে কথাও বলতে পারেন না। হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। দুধ ও সামান্য জাওভাতসহ তরল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। রাজনীতি থেকে দূরে সরে আছেন বেশ কয়েক বছর থেকে।

শেরপুর শহরের বাগরাকশা মহল্লায় মোজাম্মেল হকের জন্ম। ৮০ বছর বয়সী মোজাম্মেল হক শেরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতা ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ করার অপরাধে ১৭ মাস ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার সাম্প্রতিক অসুস্থতার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেলিফোনিক বার্তার বরাত দিয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব গণভবনে বৃহস্পতিবার উপস্থিত থাকার জন্য মোজাম্মেল হকের কাছে পত্র দেন।

ঢাকা টাইমস/২৫ জানুয়ারি/প্রতিবেদক/এএইচ