ক্যান্সারের চিকিৎসার টাকায় শিশুর কম্বল বিতরণ

রিমন রহমান, রাজশাহী
| আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৫ | প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৫

পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে শিশুটি। শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার। কিন্তু নিজের চেয়ে পরের জন্যই মন কাঁদে তার। নিজের চিকিৎসার টাকায় নি¤œ আয়ের মানুষদের জন্য কম্বল কিনে বিতরণ করেছে সে।

তার নাম শওকত সারোয়ার জামান শান্তনু। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে তার বাড়ি। রাজনীতিবিদ বাবার সন্তান। শেখ রাসেল শিশু পরিষদের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক। বাবা বদিউজ্জামান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য শান্তনুকে সম্প্রতি দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ বছরের শিশুটি এই টাকায় কম্বল কিনে নিজের হাতে বিতরণ করেছে দুঃস্থদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার বিকালে গোদাগাড়ীর মেডিক্যাল মোড় এবং ছয়ঘাটি এলাকায় প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে শান্তনু। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে না পারার কারণে হুইল চেয়ারে বসতে হয় তাকে। তবে কম্বল বিতরণের জন্য শান্তনুকে তার বাবা কোলে করে নিয়ে যান। এ সময় মা এবং বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

শান্তনুর বাবা বদিউজ্জামান বলেন, ‘ছেলের ইচ্ছাতেও কম্বলগুলো বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য অনুদান দেয়ায় সে কৃতজ্ঞ। কিন্তু তার মাথায় কী যে চিন্তা এলো সে কম্বল বিতরণ করতে চাইল। নির্দিষ্ট করে বলেও দিল, অনুদানের টাকাটা দিয়েই কম্বল কিনতে হবে।’

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ছোট্ট শান্তনুর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। দেশের চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেয়ায় তাকে নিয়ে ভারতে যান বদিউজ্জামান। সেখানে তাকে কেমো দেওয়া হয়। গেল দুই বছরে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা। এখনও প্রতিমাসে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হচ্ছে শান্তনুর চিকিৎসায়। সম্পদ বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

বদিউজ্জামান বলেন, ‘রাজনীতি আর মানবসেবা নিয়ে ছেলের খুব আগ্রহ। সুস্থ হলে সে-ও রাজনীতি করতে চায়। আর আমি যেন সব সময় মানুষের সেবা করি তার জন্য উৎসাহ দেয়। আমিও ছেলের কথা রাখার চেষ্টা করি। আমার ছেলে যেন সুস্থ হয় তার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :