চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

শিক্ষিকাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেন ব্যাংক কর্মকর্তা

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:২০

ফরিদপুর প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

‘ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসান তার প্রেমিকা কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে হত্যার পর নিজে কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে নাইলনের দড়ি গলায় ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’

‘ফরিদপুরে এক কক্ষে কলেজ শিক্ষিকা ও ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ’ পাওয়ার ঘটনায় আদালতে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এভাবেই ‘হত্যা’ মামলাটির উপসংহার টেনেছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। প্রতিবেদনে মামলাটির একমাত্র আসামি নিহত সাজিয়ার স্বামী শেখ শহীদুলের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।

বুধবার বিকালে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপুল দে ফরিদপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মাসুদ আলীর এক নম্বর আমলি আদালতে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ওই ঘটনায় ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদনে কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে হত্যা ও ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসানের মৃত্যু আত্মহত্যা জনিত বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। পরে ওই ঘরে তৃতীয় কিংবা তার বেশি কোনো ব্যক্তির উপস্থিত ছিল কি না তা জানতে ঢাকার সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ডিএনএ প্রতিবেদনে ওই কক্ষে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি প্রমাণিত হয়নি।

তিনি বলেন, ময়না  ভিসেরা, ও ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন ও এ মামলায় যুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাদিয়ার স্বামী শহীদুলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।  

গত বছরের ৬ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী এলাকার নূরুল ইসলামের দোতলা বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাজিয়া এবং সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় নাইলনের রশি বাধা ফারুকের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ৭ মে রাতে নিহত সাজিয়ার ফুপু আফসারী আহমেদ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

নিহত কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ঢাকার সুত্রাপুর থানার বানিয়ানগর এলাকার শেখ শাজাহানের মেয়ে ও একই এলাকার শেখ শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। সাজিয়া ১১ ও সাড়ে চার বছর বয়সী দুই ছেলের মা।

ফারুক সোনালি ব্যাংক ঢাকার মতিঝিল শাখার প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/প্রতিবেদক/এআর)