মিথ্যা মামলায় ফাঁসানের অভিযোগ

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:২১

জয়পুরহাট প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মোটা অংকের দায় থেকে রক্ষা পেতে অহেতুক একটি  হত্যা মামলায় স্বামীকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন এক গৃহবধূ। অভিযোগকারী মেরিনা পারভিন নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার জগৎনগর গ্রামের আখতার হোসেনের স্ত্রী। তিনি জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স।

শুক্রবার বেলা ১১টায় জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ লিখিত অভিযোগ করেন মেরিনা। এ সময় ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের আইনজীবী মানিক হোসেন, মেরিনার শ^াশুড়ি উম্মে কুলসুম, দেবর উজ্জ্বল হোসেন, তিন কন্যাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

মেরিনা তার লিখিত অভিযোগে জানান, তার স¦ামী আবু আখতার হোসেন নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার ‘জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের’ রষায়ন বিভাগের প্রদর্শক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত।  একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও একই উপজেলার সাহাপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি তার স্বামীর নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যাক্তিগত ঋণ নেন। পরে তার স্বামীকে সমপরিমাণ অর্থের বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের একটি চেক দেন। নির্ধারিত সময়ের পরও জামাল উদ্দিন টাকা পরিশোধ না করলে তার স্বামী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেন। ব্যাংক ‘অপর্যাপ্ত তহবিল’ দেখিয়ে  চেকটি প্রত্যাখ্যান করে।

এরপর দীর্ঘদিনেও ঋণ পরিশোধ না করায় তার স্বামী আখতার হোসেন ঋণ গ্রহিতা জামাল উদ্দিনকে আসামি করে জয়পুরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে গত ২০১৭ সালের ২২ মার্চ মামলা করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৭ জানুয়ারি ধামুইরহাট উপজেলার ঘুখশি খালে হাত-পা বাধা অবস্থায় জামাল উদ্দিনের মৃতদেহ পাওয়া গেলে তার স্ত্রী পরিবানু বাদী হয়ে আমার স্বামী আখতার হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।’

মেরিনা তার অভিযোগে জানান, ‘জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের বিভিন্নজনের মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আমার স্বামীও পাওনা টাকা আদায়ের জন্য জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ পাওনা টাকা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমার স্বামীকে ওই হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’

এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, ডিআইজিপি, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় র‌্যাব অধিনায়কের কাছে আবেদন করেন বলেও জানান মেরিনা।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/এলএ)