লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাব, আমি একজন ভোটার বলছি...

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০৪ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০৯

সাহিদুর রহমান সুহেল

আর মাত্র কয়েকটাদিন,আগামী ২৭-শে জানুয়ারী অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্রিটেনের বাঙালী কমিউনিটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলা গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা পেয়ে যাবো আমাদের আগামী দু'বছরের কান্ডারীদের! ব্রিটেনে নির্বাচন ও ভোট শব্দ এবং কার্যকরিতায় আমাদের কমিউনিটিতে জীবন-জীবিকার পাশা-পাশি অন্যতম ক্ষুরাক বলতে পারি ৷খুব করে খুলে যদি বলি আওয়ামীলীগ-বিএনপি-জামাত কর্মীদের মতো ৷অনেক সংবাদকর্মী সেজে কলম দিয়ে দলীয় ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত ৷তবে লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাব এখনো পুরো-পুরি এ রোগে আক্রমণ করেনি ৷

বলাহয় সাংবাদিকরা জাতির বিবেক৷এমন বিবেকবানদের নিয়ে গঠিত সংগঠনের আমিও একজন সদস্য৷আগামী নির্বাচনে ভোটার হিসেবে স্বস্তিতে আছি,কিন্তু ভোট দানে স্বস্তিতে নেই ৷দুটি প্যানেল নাহাস-আনিস-মাসুম এবং এমাদ-জোবায়ের-মুরাদ পরিষদের অনেকেই পরিচিত ও যোগ্য ভাইয়েরা রয়েছেন ৷আবার অনেক প্রাথী পরিচিতির বাইরেও গণতান্ত্রিক পছন্দের তালিকায় রয়েছেন,ইতিমধ্যে আমি তাদের প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের নিয়ে চিন্তাকে সম্মান করতে অগ্রসর হচ্ছি ৷আসলে এখনো কাউকে কথা দেয়নি,তবে আমি ভালো প্রাথীর পূজারী ৷ আমাকে যারা ভাবেন পরিচিত জনের ভারে নতজানু হয়ে ভোট দানে আমি প্রস্তত,তাদেরকে বলছি তোমাদের মনটা পরকীয়ায়-নিজের মনকে স্বচ্ছ করে ভোটারের মন জয় করতে পারছোনা বলে তোমি প্রতারক ৷বুঝতে চেষ্টা করেছি স্বার্থ-স্বিদ্ধির হুঙ্কার টান দিয়ে নয়,যোগ্য দেখে পক্ষ নিবো৷ আমার ভোট বিনিয়োগের অনুষঙ্গ যা প্রদান করতে মস্তিষ্কের একটা মিষ্ট অংশ কাজ করবে ৷

একজন ভোটার হিসেবে আমার কাছে এ বি সি ডি প্ল্যান নেই,ক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করে দুটি প্যানেলের কাছে প্রেসক্লাবের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও আগামীর পথ চলা মসৃন করতে নিজের মতামত তুলে দিয়েছি ৷

আগামীতে প্রেসক্লাবের ঐতিহ্য,ইতিহাস ও কৃষ্টি যাদের উপর ভোটাররা দায়িত্ব অর্পণ করবে তারা যেন নিরপেক্ষ রচনায় নিবেদিতকে অতিক্রম না করে যদি সংখ্যাগরিষ্টতা হয়ে যায় সে দ্বাম্ভিকতা প্রকাশ না পায়৷

লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের নামকরণ নিয়ে আমার ভিন্ন মত জানিয়েছি,আইনের ভেড়া জালে ও মফস্বলে আটকে আছি এ মতবাদে,তবুও ভাবি রবীন্দ্রনাথ চোখ বন্ধ করে গঙ্গা দেখেছিলেন-আমিও সাত সমুদ্দর দেখি।

কটাক্ষ করে বলি আর সৎ অভিলাষে বলি বলতেই হবে,লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য যখন দেখি সেলসম্যান,হকার এবং. অনলাইনে দু-একটা প্রোগ্রাম প্রেজেন্ট করে পালকি চড়িয়ে লন্ডনে নিয়ে আমার সারিতে বসিয়ে দেয় তখন বুকটা ফাইটা যায়...৷তবুও আশাবাদী দেখা যাক উত্তরণের সড়ক মিলে কিনা ৷

বাংলাদেশে শীতকালে যখন অতিথি পাখি যায় তখন হাজার অভাব-অনটনে ক্ষুধার্ত মানুষগুলো পাখিগুলোকে মেরে অর্থনৈতিক মুক্তির লোভ সামলিয়ে ভালোবেসে কাছে টেনে নেয়,তেমনি নির্বাচনকালীন সময়ে প্রেসক্লাবের অতিথিরা আমাদের মফস্বলে আসলে ক্ষুধা ও হাঁসি চেপে ধরে ভালোবেসে উজাড় করে দেই ৷আগামী ২৭ তারিখ লন্ডনে গিয়েও আরো ভালোবাসা দিবো ৷

মফস্বলে থাকি বলে প্যানেলের ভাবনায় আমরা কোটা পদ্ধতিতে রয়েছি,বলে রাখি এশিয়ার কোটা পদ্ধতির কারণে গত বিশ্বকাপ ফুটবলে সৌদিআরব গোল বন্যায় ভেসেছে,আমরাও সেরকম বাসতে চাই না ৷ যোগ্যতায় একদিন সমকক্ষ হবো,মফস্বলের গ্রিল ভেদ করে শহরে যাবার টিকেট ভোট আর ব্যালট দিয়ে যাবো ৷

প্রেসক্লাবের বছর জুড়ে থাকে ক্রীড়ার উপর ভর করে চলে,সেখানে আলাদা করে আইনের মার-প্যাচ গুছিয়ে ইভেন্ট সম্পাদকের দ্বায়িত্ব কমিয়ে ক্রীড়া সম্পাদক পোস্ট ক্রিয়েট করা যায় কিনা? ভেবে দেখার আকুতি রইলো৷

ভোটের দিন যদি রবিবার হতে পারে বছরের বাকি অনুষ্টানগুলো কেন শুক্র ও শনিবারে হয়? আমাদেরও মন চায় বনভোজনে যেতে এবং অন্যান্য অনুষ্টানে অংশগ্রহণ করতে!

পরিশেষে এইটুকু বলবো সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে কিংবা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব না কষে আমার সবচেয়ে বড় অধিকার ভোট তাহা প্রয়োগ করবো ৷আমার ভোট আমার অধিকার জিতিয়ে দিবে ৷সব প্রাথীদের জন্য শুভ কামনা৷

শুধু নিয়মের নিক্তিতে মানতে কাউকে ভোট দিবো কাউকে দেয়া হবেনা,তবুও আপনি আমার কাহিনী থেকে হারাবেনা!

হার-জিতে আমি আপনাদের পাশে থাকবো,আপনিও আমাদের পাশে যেন থাকেন৷ যারা পরাজিত হবেন মানবাধিকারের দোহাই দিচ্ছি তার চিন্তাকে নির্বাচিতরা মূল্যয়ন করে তাহাকেও বিজয়ী করুন ৷তাহলে আমরা সবাই জিতে যাবো ৷

সাহিদুর রহমান সুহেল

চীফ রিপোর্টার বাংলা মেইল, যুক্তরাজ্য