প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ঐক্যফ্রন্টের ‘না’

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪৯

এম গোলাম মোস্তফা
সংবাদ সম্মেলন করছেন ঐক্যফ্রন্টের জ্যেষ্ঠ নেতারা

জাতীয় ঐক্য গড়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়ে আসা বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর ঐক্যের ডাককে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই সঙ্গে নাকচ করেছে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেওয়ার আহ্বানকে।

জোটের তিনজন শীর্ষ নেতা শর্ত বেঁধে দিয়ে বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সংলাপ হলে তারা এই আহ্বান নিয়ে ভেবে দেখবেন।

গতকাল সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশকে এগিয়ে নিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাৎক্ষণিকভাবে ঐক্যফ্রন্টের তিনজন নেতা প্রতিক্রিয়া জানান ঢাকা টাইমসের কাছে।

মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের বক্তব্য আমরা বহুবার দিয়েছি। তবে আপনি যদি আমার ব্যক্তিগত মত জানতে চান, তবে আমি বলব অপেক্ষা করুন। সময়মতো সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।’

ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক সংলাপ ও সমঝোতা হলেই কেবল জাতীয় ঐক্য হতে পারে। নইলে নয়।’

প্রধানমন্ত্রী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে জেতা ঐক্যফ্রন্টের আটজন নেতাকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘তাদের সংখ্যা কম হলেও তাদের বক্তব্যের গভীরতা মূল্যায়ন করা হবে। সংখ্যা দিয়ে আমরা তাদের বিবেচনা করব না। সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যেকোনো সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/আলোচনা/সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।’

এ প্রসঙ্গে আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘আমরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে কেউ যদি নির্বাচিত হয়েও থাকে, তাদের শপথ নেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এটার মধ্য তাদের বৈধতা দেওয়া হবে, তা করার যৌক্তিকতা দেখি না।’

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘শপথ নিতে বলেছেন, সেটা ওনার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য। আমরা সংসদে শপথ নেব কি না তা এ মুহূর্তে বলছি না। এখানে জনগণ কী করবে, তারা মেনে নেবে কি না, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপাতত তার (প্রধানমন্ত্রীর) বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা না-ই বলছি।’