দুদক চেয়ারম্যানের অভিযান

আট শিক্ষকের মধ্যে সাতজনই অনুপস্থিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৪৫ | প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৩৫

চট্টগ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি দেখে নাখোশ হয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ওই স্কুলের আট জন শিক্ষকের মধ্যে সাত জনকে কর্মস্থলে না দেখে সতর্কতাও দিয়ে এসেছেন তিনি।

রবিবার চট্টগ্রামের কাট্টলী নুুরুল হক চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এই চিত্র দেখতে পান দুদক প্রধান। তার কাছে খবর আসে, চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষকরা অনিয়মিত। এরপর তিনি তথ্য যাচাই করতে যান।

সকাল ৮.২৫ মিনিটে দুদক চেয়ারম্যান পৌঁছেন চট্টগ্রামে। সকাল সোয়া নয়টায় হাজির হন স্কুলটিতে। স্কুল সময়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের স্কুলের বাইরে দেখে বিস্মিত হন। পরে জানতে পারেন, আটজন শিক্ষকের মধ্যে একমাত্র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উপস্থিত, বাকিরা কেউ আসেননি।

সম্প্রতি দুদক দেশের ১১টি সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ৪০ শতাংশ চিকিৎসককে কর্মস্থলে দেখতে পায়নি। আর এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, কাজে না আসলে চিকিৎসকদের ওএসডি করার।

সরকারি স্কুলগুলোতেও শিক্ষকরা ব্যাপকভাবে কাজে ফাঁকি দেন বলে তথ্য রয়েছে। আর কোনো একদিন না এলেও তারা হাজিরা খাতায় সই করেন।

হঠাৎ দুদক চেয়ারম্যানকে পেয়ে অভিভাবকদের নানা অভিযোগও তুলে ধরেন। এসময় তারা শিক্ষা কার্যক্রম নিয়েও হতাশার কথা জানান।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে দুদক দ-বিধির ১৬৬ ধারা প্রয়োগ করবে। তারপরও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতিসাধন করবেন বা করার চেষ্টা করবেন এমন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

এর পরপরই দুদক চেয়ারম্যান যান নগরীর ভাটিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । সেখানে গিয়েয়ে দেখেন ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে ২ জন অনুপস্থিত। এদের অনুপস্থিতির কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ দুদক চেয়ারম্যান জানাতে পারেননি।

দুদক চেয়ারম্যান ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি শিক্ষকদের উপস্থিতির খাতা পরীক্ষা করে দেখেন, গতকাল যে সব শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল তাদের অনেককেই উপস্থিত দেখানো হয়েছে। আবার বেলা ১০ টা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের রোল কল করা হয়নি। এ বিষয়েও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

এরপর দুদক চেয়ারম্যান যান নগরীর শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি জানতে পারেন, টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা কোনো শিক্ষার্থীকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় সুযোগ (সেন্ট-আপ) দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে নবম শ্রেণিতে এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের দুই হাজার টাকার বিনিময়ে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার খবরে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। বলেন, ‘এটা অনৈতিক । শিক্ষাক্ষেত্রে অনৈতিকতার কোনো স্থান থাকতে পারে না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা