যশোরে ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, নেপথ্যে ‘আ.লীগের কোন্দল’

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৭ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৫

যশোর প্রতিবেদক

যশোরে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বাড়িসহ অন্তত ছয়টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিশ বলছে, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের কাজীপাড়া এলাকায় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবন লক্ষ্য করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তিনটি ককটেল ছুড়ে মারে। এর মধ্যে দুটি বিস্ফোরিত হয়; একটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়।

যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান বলেন, ‘এটি তাদের (আওয়ামী লীগের) অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়। ব্যক্তিগত শক্তি প্রদর্শনের জন্যে নিজেদের স্থাপনার উপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা  জনগণ ও প্রশাসনকে অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।’

জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু ও সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘রাতে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ যশোরের বাসাতেই ছিলেন। তবে, বিস্ফোরণে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।’

ওই রাতেই যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান লালের ষষ্ঠিতলার বাসভবন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফয়সাল খানের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনের ছাদ, শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার বাসভবন এবং শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন শহরের গাড়িখানা রোডের পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনাল, চাকলাদার ফিলিং ইত্যাদি স্থানে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।

জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার বাসভবন এবং যুবলীগ নেতা রাজিবুল আলমের বাড়িতেও সন্ত্রাসীরা একই কায়দায় কয়েকটি বোমা ছুড়ে মারে। তারা রাজিবুলের বাড়িতে গুলিও করে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিতকুমার নাথ বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘অতিউৎসাহী সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর বাসায় বোমা হামলার ভিডিও ফুটেজ আমি দেখেছি। ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে কারা এই ঘটনায় যুক্ত।’