হান্ডি রেস্তোরাঁয় স্টিকার প্রতারণা
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ‘এ’ পায়নি ‘হান্ডি রেস্তোরাঁ’র ধানমন্ডি শাখা। অথচ তারা তাদের রেস্টুরেন্টে সাঁটিয়ে রাখা হয়েছে এই স্টিকার। এই প্রতারণা ফাঁস হওয়ার পর তাদেরকে দুই লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
রবিবার দুপুরে ধানমন্ডির বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ভেজালবিরোধী অভিযান চালানোর সময় ধরা পড়ে যায় এই প্রতারণা। আর হাতেনাতে ধরা পড়ে সেটি নিরাপদ খাদ্যের কর্মকর্তারাই। আর অপরাধ স্বীকারও করে হান্ডি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ বলেন, ‘ভোক্তাদের সুবিদায় কিছুদিন আগ থেকে আমরা গ্রেডিং সিস্টেম চালু করেছি। কিন্তু দুই দিন পার না হতেই ধানমন্ডি শাখার হান্ডি রেস্তোরাঁ আমাদের এই গ্রেড নকল করে স্টিকার লাগিয়ে রেখেছে।’
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গত ২০ জানুয়ারি খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁকে তাদের মান অনুযায়ী গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করেছে। সবচেয়ে ভালো রেস্তোরাঁগুলোকে দেওয়া হয়েছে এ প্লাস। তাদের প্রতিষ্ঠানে সাঁটানোর জন্য দেওয়া হয়েছে সবুজ রঙের স্টিকার।
এর চেয়ে কিছুটা কম গ্রেড অথচ মানসম্মত রেস্তোরাঁ হিসেবে যেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোকে দেওয়া হয়েছে এ গ্রেড, দেওয়া হয়েছে নীল রঙের স্টিকার।
আর আরো উন্নতি করতে সময় বেঁধে দেওয়া সবশেষ দুই ধাপকে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে বি ও সি গ্রেড, দেওয়া হয়েছে হলুদ ও কমলা রঙের স্টিকার।
ঢাকার ৫৭টি রেস্টুরেন্টকে মান বিবেচনায় ‘এ-প্লাস’ (উত্তম) ও ‘এ’ (ভালো) গ্রেডের স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৮টি ‘এ-প্লাস’ এবং ৩৯টি ‘এ’ গ্রেড পায়। আগামীতে সবগুলো রেস্টুরেন্টকেই এই গ্রেডিংয়ের আওতায় আনা হবে।
হান্ডির পল্টন শাখা ‘এ’ গ্রেড এবং নীল রঙের স্টিকার পেয়েছিল। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রের তুষার আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা তাদের পল্টন শাখাকে ‘এ’ দিয়েছি ধানমন্ডি শাখায় নয়। এ জন্য তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু টাকা দিতে পারেনি দেখে আমরা আসামিকে এক মাসের জন্য কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি।'
ভবিষ্যতে ভেজালবিরোধী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এসএস/ডব্লিউবি