গাইবান্ধা-৩ আসন আ.লীগের

গাইবান্ধা প্রতিবেদক, ঢকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৩৭

৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল জয় পাওয়া আওয়ামী লীগ জিতল গাইবান্ধা-৩ আসনেও। প্রায় এক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে হারিয়েছে দলটি। বিএনপি-জামায়াত জোট এই ভোট বর্জন করে। রবিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হয় পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে।

রাতে গণনা শেষে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় নৌকা নিয়ে লড়া ইউনুস আলী সরকার ১৩২টি কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন এক লক্ষ ২১ হাজার ১৬৪। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পাটির দিলারা খন্দকারের লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পড়েছে ২৪ হাজার ৩৮৫টি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা খাতুন এই ফলাফল নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৯৬ হাজার ৭৭৯ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

এই আসনের ফলাফলে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে জয়ী হলেন ২৫৮ জন। অবশ্য এদের একজন কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ভোট হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।

৩০ ডিসেম্বর এই আসনে ভোট হয়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী টি আইএম ফজলে রাব্বীর মৃত্যুর কারণে। সেদিন ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। আর এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জেতার পর বিএনপি আনে কারচুপির অভিযোগ।

গাইবান্ধা-৩ আসনে স্থগিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনে ২৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে নতুন করে নির্বাচন কমিশন। আর বিএনপি নতুন করে এই আসনে প্রার্থী করে মইনুল হাসান সাদিককে। তিনি প্রার্থিতা জমাও দেন। তবে গত ১০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। কারচুপি ও অনিয়মের আশঙ্কার কথা বলে বাসদ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

শেষ পর্যন্ত ভোটে পাঁচ জন প্রার্থী থাকেন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই জন ছাড়াও জাসদের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি মশাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিজানুর রহমান তিতু আম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ সিংহ প্রতীক নিয়ে লড়েন। এদের মধ্যে ভোট চলাকালে নির্বাচন বর্জন করেন জাসদের খাদেমুল।

সকাল দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। বেশিরভাগ কেন্দ্রে লাইন দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা না গেলেও সকাল ১০টা থেকে দুই-একজন করে ভোটার বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট দিয়েছে। অবশ্য কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনও দেখা গেছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনকে ঘিরে আড়াই হাজার পুলিশ, দেড় হাজার আনসার সদস্য, ২০ প্লাটুন বিজিবি ও ২০ প্লাটুন র‌্যাব সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন বলেও জানান ডিসি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :