ছয় মাসেও দেখা নেই ডাক্তারের
রংপুরের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগ পাওয়ার পর ছয় মাসেও দেখা নেই চিকিৎসক আব্বাস আলীর। তবু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত ২১ জানুয়ারি দুদক যেসব হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে, তার মধ্যে এই চিকিৎসালয়টিও আছে। সেদিনের পর ফাঁকিবাজ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক কাজে ফিরলেও দেখা নেই আব্বাস আলীর।
হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার শাহ নেওয়াজ সাঈদ সৈকত ঢাকা টাইমসকে জানান, এই হাসপাতালটিতে বর্তমান মেডিকেল অফিসার আসেন তিনজন, কনসালটেন্ট আছেন চারজন। ডেনটিস্ট আছেন একজন এবং একজন ইউএইচ এফপি।
‘তবে গত ছয় মাস আগে আব্বাস আলী নামে এক কনসালটেন্ট যোগদান করার পর থেকে এক দিনও অফিস করেননি’- বলেন হাসপাতালের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।
এই হাসপাতালে এখনো দুজন মেডিকেল অফিসার এবং একজন কনসালটেন্টের পদ শূন্য।
হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি ২০১৬ সালে স্থাপন করার পর থেকে আজ পর্যন্ত চালু করা হয়নি। সরকারি মেকানিক না আসাই এর কারণ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে একজন কর্মী বলেন, মেশিনটি আনার পর থেকেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। কয়েক দফায় তা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মেকানিক এসে দেখেছেও। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
মেশিনটি চালু হলে বাইরের ক্লিনিকে রোগী পাঠানো যাবে না বলেই সেটি ঠিক করা হচ্ছে না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
দুদকের অভিযানের পর থেকে চিকিৎসকদের সিংহভাগ কাজে ফেরায় হাসপাতালের চিত্র অবশ্য আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। পুরুষ ওয়ার্ডের ১১ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন বকুল মিয়া আশ্চর্য হয়েছেন কীভাবে এই পরিবর্তন, সেটা ভেবে। বলেন, এর আগেও তার পরিবারের লোকজনকে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু ডাক্তার-নার্স কেউই ঠিকমতো আসত না।
হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার শাহ নেওয়াজ সাঈদ বলেন, ‘৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত এই হাসপাতালে জনবল সংকট। তবুও আমরা প্রয়োজনমতো রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’