অবৈধ দখল উচ্ছেদে স্থায়ী ব্যবস্থা নিন

আরিফুর রহমান
 | প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৩৮

রাজধানীতে সরকারি জমি ও খাল দখলের মচ্ছব চলছেই। এমনও দেখা গেছে সকালে উচ্ছেদের পর বিকেলে তা আবার চলে গেছে দখলদারদের কবলে। বেদখল আর উচ্ছেদ অভিযানের এই ইঁদুর-বিড়াল খেলায় সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই হয় না।

সরকারি জমি, ফুটপাত বা খাল দখল দ-নীয়- এটি জানা সত্ত্বেও একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি রাজনৈতিক পরিচয়কে পুঁজি করে দিনের পর দিন সরকারি জমিতে দখলদারি চালাচ্ছে। তারা অবৈধ দখল থেকে আয় করছেন বিপুল টাকা, অথচ সরকার পাচ্ছে না কিছুই।

সরকারি জমিতে ছিন্নমূল মানুষের জন্য ঘর তুলে বাণিজ্য প্রসারের নজির ভূরি ভূরি। এমনকি বড় রাস্তার ফুটপাতে বস্তিঘর তুলে তা দিব্বি ভাড়া দিচ্ছে এই শ্রেণির দখলদাররা। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে পরিকল্পিত নগরায়ণের চেষ্টা চলছে- কর্তৃপক্ষের এমন দাবি আর আশ্বাস শুনতে শুনতে ক্লান্ত রাজধানীবাসী। দীর্ঘদিনেও ঢাকা ও তার আশপাশের খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করতে না পারায় পয়োনিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য ধারাপাতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। নগরবাসীর এই দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই। বছরের পর বছর চলছে এভাবে।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলে আসছেন. খালগুলো দখলমুক্ত করা গেলেই জলাবদ্ধতা নিরসনের একটা স্থায়ী সমাধান হয়ে যায়। এ নিয়ে সরকারি নানা মহলে কখনো কখনো নড়েচড়ে বসতে দেখা যায়, কিন্তু আসল কাজটি আর হয় না শেষ পর্যন্ত।

উচ্ছেদ অভিযান আর পুনর্দখলের চোর-পুলিশ খেলা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, এ ব্যাপারে আইন যথাযথ নয়, কিংবা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। আমরা মনে করি অবৈধ দখলদারির অবসানে প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ। দখলদার যেই হোক দল-মতনির্বিশেষে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষত্রে বিদ্যমান আইন যথাযথ না হলে নতুন আইন প্রণয়ন করা হোক দ্রুত। তা না হলে উচ্ছেদের নামে যত ভালো ও সুন্দর উদ্যোগ নেয়া হোক তা লোক দেখানো হিসেবে গণ্য হবে বারবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজপাট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা