ডাকসু নির্বাচন
হল নয়, অনুষদে ভোটকেন্দ্র চায় ছাত্র ফেডারেশন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বে পরিপূর্ণ এলাকা আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা বলেছেন, আবাসিক হলে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের অনুষদগুলোকে ভোট কেন্দ্র করার দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ডাকসু নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র, প্যানেল ভাবনাসহ নির্বাচনী আচরণবিধি বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, ‘আমরা খুব জোর দিয়েই বলছি, আবাসিক হলের বিশেষ ভীতিজনক পরিস্থিতিতে অনুষদে ভোট কেন্দ্র নিতে আইনগত বা অন্য কোনো বাধা নেই। কোনো বাধা থাকলেও তা সংশোধন করার সুযোগ সবসময় থাকে’।তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে যারা ভুলুণ্ঠিত করে চলছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু ভোট করবে তা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
লিখিত বক্তব্যে জাহিদ সুজন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের রাতে গেস্টরুম করা, দিনে মিছিলে যাওয়া ‘রুটিন কাজ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপায়হীনভাবে একাজ করতে বাধ্য। গণরুম ও গেস্টরুমে নির্যাতনে বিগত কয়েক বছরে অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। তাই আমরা ডাকসু নির্বাচনে- হলে নয়, অনুষদে ভোট কেন্দ্র চাই’।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের মতো দখলদার সংগঠন এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি বাদে আপামর ছাত্রসমাজ, প্রগতিশীল ছাত্র জোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য, আদিবাসী সংগঠনসমূহ, শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিভিন্ন আন্দোলনের কর্মী, সাংস্কৃতিক-সামাজিক-পাঠচক্র সংগঠন, ক্রীড়া পারদর্শী, বিতার্কিক, শিল্পীদেরকে নিয়ে ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকারের পক্ষে বৃহত্তর ইউনিটি দরকার। সেই বৃহত্তর ইউনটি গড়তে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’ ‘ডাকসু নির্বাচনে বৃহত্তর ইউনিটি থেকেই সকল প্যানেল দেয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। বৃহত্তর ইউনিটি তৈরি হলে সেখান থেকে ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারাও ডাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’
জাহিদ আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনসহ প্রগতিশীল ছাত্র জোটের শরিক সংগঠনগুলো নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত যেসব সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে তা বাস্তবায়ন ও কার্যকর না করলে ডাকসু নির্বাচন একটা একতরফা নির্বাচনের পথেই এগুবে।
ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/এসএইচ/ ইএস