মুদ্রানীতিতে বড় পরিবর্তন নেই

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫৮ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ০.০৩ শতাংশ কমিয়ে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ধরে আগামী ছয়মাসের (জানুয়ারি-জুন) জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ধরা হয়েছে।

এর আগের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং সরকারি খাতে ছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের সঙ্গে দ্বিতীয় অর্ধের মুদ্রানীতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। বর্তমান সরকারের আমলে এটিই প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা।

অর্থবছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ, মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার এই মুদ্রানীতি।

প্রতি বছর মুদ্রানীতি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় পুঁজিবাজারে। একই পরিস্থিতি এবারো। কয়েকদিন ধরেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুদ্রানীতি নিয়ে আগ্রহ কাজ করছে। যদিও সরাসরি এই মুদ্রানীতির সঙ্গে পুঁজিবাজারের সম্পর্ক নেই বললেই চলে।  

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকারি ঋণের প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

গভর্নর ফজলে কবির বলেন, অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে প্রকৃত গতিধারা বিবেচনায় নিয়ে জুন ২০১৯ শেষে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আগেকার ৮ দশমিক ৫ ও ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কিছুটা সংশোধন করে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৯ এবং ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘নিউ ইয়র্কের সময়ে ৩০ তারিখ রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মামলা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা সব অর্থ ফেরত আনার জন্য,দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য এ মামলা করছি। নিউ ইয়র্কের ফেডারেল কোর্টে এ মামলা হবে।’

এ সময় ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট পরামর্শক আল্লা মালিক কাজমী,বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এস কে সুর চৌধুরী, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আখতারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/জেআর)