ওভাররাইটিংয়ে আত্মসাৎ আড়াই লাখ টাকার ওষুধ

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৫

বরিশাল ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বরিশালের উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপারের বিরুদ্ধে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধের চাহিদাপত্র জালিয়াতি করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরিশালের সিভিল সার্জন মনোয়ার হোসেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান। এ সময় বহির্বিভাগের রোগীদের মাঝে ওষুধ বিতরণের রেজিস্ট্রার দেখতে গিয়ে গত ডিসেম্বর মাসের প্রায় আড়াই লাখ টাকার ওষুধের গড়মিল খুঁজে পান। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাচী দাস সানি ও মেডিকেল অফিসার শওকত আলীর সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের রোগীদের মাঝে ওষুধ বিতরণের জন্য নার্স ইনচার্জ ফাতেমা বেগম গত ডিসেম্বর মাসের চাহিদাপত্র দাখিল করেন। ওই চাহিদাপত্রে তিনি রোগীদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ক্যাপসুল স্যাফিকজিন ৩০০ পিস, ব্যথানাশক ইনজেক্টশন কিটোরোলাক ১৮০ পিচ ও গ্যাস্টিকের ক্যাপসুল ওমিপ্রাজল ১০০ পিস ওষুধ দাবি করেন। চাহিদাপত্র অনুযায়ী স্টোর কিপার মনিরুজ্জামান নার্স ইনচার্জের কাছে ওষুধ দেন। তবে নার্সের দেয়া চাহিদাপত্র ও রেজিস্ট্রার খাতায় ওভাররাইটিং করে স্টোর কিপার মনিরুজ্জামান অ্যান্টিবায়োটিক ক্যাপসুল স্যাফিকজিন ৩০০ পিসের জায়গায় চার হাজার ৩০০ পিস, ব্যথানাশক ইনজেক্টশন কিটোরোলাক ১৮০ এর জায়গায় এক হাজার ৮০০ পিস ও গ্যাস্টিকের ক্যাপসুল ওমিপ্রাজল ১০০ এর জায়গায় পাঁচ হাজার ১০০ পিস ওষুধ লিখে অতিরিক্ত প্রায় আড়াই লাখ টাকার ওষুধ নিজে আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শওকত আলী জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ওষুধ আত্মসাতের কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একেএম সামছউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। ওষুধ আত্মসাতের বাইরে অন্য কোনো অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি হয়েছে কি না এবং এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কি না সে বিষয়টিতে গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য তদন্ত কমিটিকে বলা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, কাজ-কর্মে ভুলত্রুটির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যই স্যার (সিভিল সার্জন) তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এর বাইরে কিছুই না।

(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/জেবি)