প্রবাসীর স্ত্রী হত্যা: খুনের দায় স্বীকার বাদীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
| আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৫৯ | প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৫৯

টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রবাসীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম হত্যা মামলায় বাদীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্যটি জানান।

নিহত মনোয়ারা বেগম বাসাইল উপজেলার নথখোলা পৌলীপাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী ধলা মিয়ার স্ত্রী।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহতের সহোদর ভাই আব্দুল কাদেরের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন খুকি, টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ার ফজলুল হকের ছেলে ও তাসলিমা খাতুনের ভাই আল আমিন, বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার সোলায়মান মিয়ার ছেলে রহিম মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১ জানুয়ারি জেলার বাসাইল উপজেলার নথখোলা পৌলীপাড়া এলাকার প্রবাসী ধলা মিয়ার স্ত্রীকে নিজ ঘরে হাত পা বেঁধে পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে নিহত মনোয়ারা বেগমের সহোদর ভাই আব্দুল কাদেরের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন খুকি বাদী হয়ে ঘটনার দিনই বাসাইল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারায় গত ২৩ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কুমার দত্তকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এই হত্যার সাথে মামলার বাদী তাসলিমা খাতুনের সম্পৃক্তরা পায় ডিবি পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৮ জানুয়ারি জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিকভাবে ডিবি পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উঠালে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আমিনুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর রাতে ফিজআপের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মনোয়ারা বেগমকে প্রথমে দুর্বল করা হয়। পরে তার নিজ ঘরেই হাত-পা বেঁধে ছুরি দিয়ে পা ও হাতের রগ এবং গলাকেটে হত্যা করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত রহিম মিয়ার একটি রক্তমাখা প্যান্ট, এক জোড়া জুতা ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক সেবন, পরকীয়া ও টাকা আত্মসাতের জন্যই এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :