বিরোধী দলে প্রাণবন্ত হোক একাদশ সংসদ

আরিফুর রহমান
 | প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩১

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল একই বাইসাইকেলের দুটো চাকার মতো। একটি ছাড়া অন্যটি এগোতে পারে না। সরকারের সামগ্রিক পদক্ষেপগুলো জনবান্ধব হচ্ছে কি না, এর নিরপেক্ষ বিচারের ভার আসলে বিরোধী দলের হাতে। বিরোধী দলের গঠনমূলক সমালোচনায় সরকারের অনেক ভুল-ভ্রুটি নজরে আসে। এটি শুধরে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় সরকার পরিচালনাকারীদের।

গতকাল প্রথম অধিবেশন বসার মধ্য দিয়ে যাত্রা হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদের। নতুন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা তার প্রথম বক্তব্যে সংসদকে প্রাণবন্ত করতে তাদের কথা বলতে দেওয়ার দাবি জানান। তার এই দাবি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কার্যকর ও প্রাণবন্ত সংসদের জন্য অবশ্যই বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।

এটা প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনাও অনুধাবন করেন। নতুন সংসদে তার প্রথম বক্তব্যে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সংসদে কথা বলার ক্ষেত্রে বিরোধী দলকে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হবে না।

আমরা মনে করি, গণতন্ত্রের এটাই সৌন্দর্য। সরকার ও বিরোধী দলের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। পরস্পরের কথা শোনা ও বলতে দেওয়া।

আমরা মনে করি, গত দশম সংসদের চেয়ে একাদশ সংসদ আরও বেশি প্রাণবন্ত হবে। এবার সত্যিকার অর্থে বিরোধী দল পেল সংসদ। গত সংসদে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করা জাতীয় পার্টি বিরোধী দল ও মন্ত্রিসভা দুই জায়গাতেই অংশ নেয়। এতে কার্যত বিরোধী দলের ভূমিকা নিতে পারেনি দলটি। এই দ্বৈত ভূমিকা দলের নেতাদের জন্যও ছিল বিব্রতকর।

এর বাইরেও মহাজোটের অন্য শরিকরাও এবার বিরোধী দলের আসনে বসেছেন সংসদে। তাদেরও কেউ নেই মন্ত্রিসভায়। আমরা আশা করি তারা যদি বিরোধী দলের ভূমিকায় সরব থাকে, তাহলে সংসদ জমে উঠবে। দেশের মানুষও একটি কার্যকর ও প্রাণবন্ত সংসদ দেখতে পাবে।

আরও ভালো একটি কার্যকর সংসদ আমরা দেখতে পাব যদি বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের সাংসদরা শপথ নিয়ে সংসদে যোগদান করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজপাট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা