বইমেলায় উস্কানিমূলক বই আনলে ব্যবস্থা: ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫৫ | প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:২৪

সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বই মেলায় প্রকাশ বা বিপণন করা যাবে না। জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

পুলিশ বিষয়টি তদারকি করবে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,‘কেউ করলে আমাদের গোয়েন্দারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।’

মাস ব্যাপী একুশে বইমেলা শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএমপি প্রধান।

লেখক, প্রকাশক ও ব্লগাররা তাদের বিশেষ নিরাপত্তা প্রয়োজন মনে করলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শও দেন আছাদুজ্জামান মিয়া। বলেন, ‘আমাদের অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’

গত দেড় যুগে বই মেলা চলাকালে অন্তত দুইবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০০৪ সালে প্রখ্যাত লেখক হুমায়ুন আজাদকে কোপানো হয় মেলার বাইরে। সে সময় গুরুতর আহত এই লেখক সুস্থ হলেও পরে মারা যান।

২০১৫ সালে লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মেলা থেকে ফেরার পথে।

এবারও কোনো ধরনের আশঙ্কা রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সংঘবদ্ধভাবে জঙ্গিরা হামলার চালানোর শক্তি নেই। তবে দুই একজন বিচ্ছিন্নভাবে হামলার চেষ্টা করতে পারে। গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছে।’

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আসা যাওয়ার পথ

মেলা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণসহ নিরাপত্তার ব্যবস্থার বর্ণনা দিয়ে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘মেলাপ্রাঙ্গণ ছাড়াও টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুলিশের থাকবে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। এছাড়া মেলার চারপাশে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’

‘বইমেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এবং সোয়াট টিমের সদস্যরা প্রস্তুত থাকবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা শতভাগ সিসিটিভির আওতায় থাকবে। এছাড়া টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুরো এলাকাও সিসিটিভির আওতায় থাকবে। মেলার ভেতরে এবং বাহিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই পিডব্লিউর সঙ্গে কথা বলেছি।’

মেলা প্রাঙ্গণে নয়টি গেইট থাকবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বইমেলার বাংলা একাডেমির অংশে দুটি প্রবেশ গেইট ও একটি এক্সিট গেইট থাকবে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে তিনটি প্রবেশ গেইট ও তিনটি এক্সিট গেইট থাকবে। প্রতিটি গেইটেই আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের পাশাপাশি নিরাপত্তা তল্লাশি থাকবে।’

বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে নারী ও পুরুষদের জন্য প্রবেশপথের আলাদা আলাদা লেন থাকবে।

পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের রুখতে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পকেটমার ছিনতাইকারী দমনে পুলিশের বিশেষ টিম থাকবে। বইমেলা এলাকাজুড়ে থাকবে আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা টিম। তারা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করবে যাতে করে যেন কোনো ধরনের ছিনতাই বা রাহাজানির ঘটনা না ঘটে। এছাড়া মেলাপ্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ এলাকায় কোনো ধরনের ভাসমান দোকান ও হকার থাকবে না। তাদের দমনে আমাদের ফুট ও মোবাইল পেট্রোলিং থাকবে।’

বইমেলা উপলক্ষে বিশেষ ট্রাফিকব্যবস্থা থাকবে। টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তা যানজটমুক্ত থাকবে। যারা টিএসসির দিয়ে মেলায় আসবেন তারা গাড়ি পার্কিং করবেন ঢাবির মলচত্বরে, আর দোয়েল চত্বর দিয়ে যারা আসবেন তারা গাড়ি পার্কিং করবেন রাস্তার দুই পাশে ও ঢাবির জিমনেসিয়ামে।

দর্শনার্থীদের পারলে মগবাজার ও দোয়েল চত্বর হয়ে মেলায় আসার পরামর্শও দেন ডিএমপি কমিশনার। বলেন, ‘তাহলে যানজট কম পাবেন। কেননা সোনারগাঁও হোটেল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এমআরটির কাজ চলায় এই রাস্তায় যানজট বেশি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :