কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের জন্মোৎসব শনিবার

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৬

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ৮০তম জন্মদিন আগামী শনিবার। এ উপলক্ষে রাজশাহীর সর্বস্তরের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী ও গুণীজনদের পক্ষ থেকে এক জন্মোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

সেখানে বরেণ্য এই লেখককে রাজশাহীর সম্মিলিত নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের জন্মোৎসব উদযাপন কমিটি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে নগরীর বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, কবিকুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক।

তিনি জানান, কথাসাহিত্যিকের জন্মদিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জন্মোৎসব অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে।

সেখানে একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হবে। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বরেণ্য এই কথাসাহিত্যিকের জীবন ও কর্ম নিয়ে ‘গল্পলোকের চিত্রকর’ নামে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হবে।

জন্মোৎসবের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা। আর অনুষ্ঠান থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাবির ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. স্বরোচিষ সরকার, কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল, রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবীর লিটন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক চৌধুরী, সংস্কৃতিক কর্মী মাজেদা আক্তার বিথি, রাজশাহী থিয়েটারের সদস্য কামারুল্লাহ্ সারকার কামাল প্রমুখ।

দুই বাংলার সাহিত্যচর্চা, বিশেষ করে কথাসাহিত্যের আঙিনায় হাসান আজিজুল হক একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে তার জন্ম। ১৯৬০ সালে রাজশাহীতে বসে লেখা তার প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘শকুন’-এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে সগর্বে আত্মপ্রকাশ ঘটে হাসান আজিজুল হকের।

ছোটগল্পের বরপূত্র হিসেবে পরিচিত এই কথাসাহিত্যিকের লেখায় দেশভাগ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, শ্রেণিচেতনা দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, পাকিস্তানি দুঃশাসন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর চার দশকের বহু বিস্তৃত অনুষঙ্গ ঠাঁই পেয়েছে।

উঁচুদরের ভাষাশৈলি ও গল্পকথনের অভিনব আঙ্গিকের প্রয়োগে তার গল্পগুলো সমকালীন থেকে চিরকালীন সাহিত্যের রূপলাভ করেছে। লেখালেখি ছাড়াও সাংগঠনিকভাবেও সক্রিয় থেকেছেন সব সময়। দেশের নানা ক্রান্তিকালে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন সক্রিয় সাংগঠনিক কর্মতৎপরতায়।

ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :