একুশে গ্রন্থমেলার পর্দা উঠছে কাল

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বছর ঘুরে আবার এসেছে ফেব্রুয়ারি মাস। এ মাসের প্রথম দিনে আগামীকাল অবসান ঘটবে বইমেলার জন্য সারা বছরের অপেক্ষা। তারপর গোটা মাস জুড়ে জমে উঠবে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির মহাসম্মিলন অমর একুশে গ্রন্থমেলা। শুক্রবার বিকাল তিনটায় এ মহাযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির সদ্যনিযুক্ত মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী মেলার প্রস্তুতি নিয়ে সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘বিজয়’: ১৯৫২ থেকে ১৯৭১, নবপর্যায়। নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশেই এই প্রতিপাদ্য।

হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক বাংলা একাডেমি গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে উদযাপন করে আসছে বিশ্বের দীর্ঘসময়ব্যাপ্ত অমর একুশে গ্রন্থমেলা। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জ্বীবিত করতে পারলে শতবর্ষ পরে হয়তো দেখা যাবে সফল এক বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। বই সেই সুন্দর সফল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম উপাদান।’

বাংলা একাডেমি এবং বইমেলা এমন একটি চেতনা, যা বাঙালি জাতি হৃদয়ে ধারণ করে। এই একমাসের বইমেলা এই ক্ষণিকসময় যেন অনন্ত প্রসারিত হয়।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

শুক্রবার বিকাল তিনটায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু, ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষ, মিশরীয় লেখক-গবেষক মোহসেন আল আরিশি। স্বাগত ভাষণ দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী।

লাখ বর্গফুটের মেলায় অংশ নিচ্ছে ৪৯৯ প্রতিষ্ঠান

সংবাদ সম্মেলনে বইমেলার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন মেলা কমিটির আহ্বায়ক জালাল আহম্মেদ। তিনি জানান, এবারই প্রথমবারের মতো গ্রন্থমেলার স্টল বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া চালু হয়, এ ধারা ভবিষ্যতে আরো বিস্তৃত হবে। একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ বর্গফুট জায়গায় এবার মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের মেলাকে ৪টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। মেলায় ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭৭০টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠান ৬২০টি ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে। এছাড়া বাংলা একাডেমিসহ মোট ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন থাকছে মেলায়।

গ্রন্থমেলার সময়সূচী

মাসব্যাপী বইমেলার ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেলা চলবে।

বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা ছাড়াও মেলা স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বিকাশের সিএমও মীর সওগত আলী, নিরাপদ মিডিয়া ও কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলা একাডেমীর সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/ডিআর/ডিএম