ঢাকা-চট্টগ্রামে দ্রুতগতির ট্রেনে এডিবির চোখ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪৬
ফাইল ছবি

দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাতায়াতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করতে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই প্রস্তাব দেন দাতা সংস্থাটির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।

বৈঠক শেষে মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে দুই ঘণ্টায় রেলে যাওয়া সম্ভব এবং এটা বাস্তবায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছেন মনমোহন প্রকাশ।’

বর্তমানে পাঁচ ঘণ্টার কমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াত করা কঠিন। তবে সরকার ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে ভৈরবের বদলে নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে নতুন লাইন করে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায়। আর বর্তমান গতির চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে ট্রেন চালিয়ে দুই ঘণ্টায় বন্দরনগরীকে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আরও দ্রুত গতিতে রেল করা যায়। তাদের ধারণা, আমরা যে ঢাকা-চট্টগ্রাম আট নাকি ছয় ঘণ্টায় যাই, এটাকে দুই ঘণ্টায় নামানো সম্ভব। এমনকি বর্তমান যে রেলের ট্র্যাক আছে, সেটার ওপর দিয়েই নাকি সম্ভব। আমার অতটা পরিষ্কার ধারণা ছিল না। তাদের কাছে নাকি স্টাডি আছে। আমি বলেছি, খোঁজ-খবর নেব।’

প্রকল্পের গতি বাড়ানোর তাগিদ

বাংলাদেশে প্রকল্প বান্তবায়ন ধীর গতি হয় জানিয়ে গতি বাড়ানোর তাগিদও দেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ এসেছিলেন। এ দেশ সম্পর্কে তার ভালো আগ্রহ আছে। গত প্রায় তিন বছর তার কাজ দেখেছি ভালো। তিনি চান, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ আরও দ্রুত হোক। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান আরও দ্রুত হোক। আমিও চাই আরও দ্রুত হোক। ভালো ভালো প্রকল্প আসতেছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের গতিটা নিয়ে তাদের একটু প্রশ্ন আছে।’

‘আমি তাকে আশ্বস্ত করে বলেছি, আপনি আমার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ রাখবেন। কোন কোন পয়েন্টে অ্যাক্সেক্টলি আপনাদের সহায়তো, গতি বৃদ্ধি প্রয়োজন, সেগুলো আমাকে বলবেন। আমি সাহায্য করব।’

মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকাও। তিনি কী বলেছেন- জানতে চাইলে মান্নান বলেন, ‘ভারতীয় হাইকমিশনার নাই এই মুহূর্তে। ভারপ্রাপ্ত যিনি আছেন, তিনি এসেছিলেন। উনারাও মনে করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে বোধহয় গতি বৃদ্ধির একটা ব্যাপার আছে। যদিও তাদের ওখানেও গতি বৃদ্ধি নেই। মোটামুটি সমস্যা প্রায় কাছাকাছি। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি, অনানুষ্ঠানিকভাবে সমস্যাগুলো জানাবেন।’

প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণ কী- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আমলাতন্ত্র শুধু ব্যক্তি নয়। আইন-কানুনও কিন্তু আমলাতন্ত্র। ব্যক্তিগুলো আইনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। অনেকগুলো বিধিবিধান আমাদের সিস্টেমে আছে, যেগুলো আমি ব্যক্তিগতভাবে পুরোনো। আমি বললে তো কাটা যাবে না, কী প্রভাব পড়ল দেখতে হবে। এ জন্য কয়েকটা স্তর কেটে ফেলা। যেমন, চার স্তরের জায়গায় তিন স্তর করে ফেলা। পাঁচের জায়গায় তিন করা। এগুলো করলে গতি বৃদ্ধি পাবে।’

‘আর দিনের কাজ দিনে না করা বা তিন দিনে যেটা হওয়ার কথা, সেখানে আটদিন লাগানো। জবাবদিহিতা দেয়ার প্রশ্ন একটা আছে। এটা বোধহয় আমাদের এখানে একটু কম আছে। এটা বৃদ্ধির জন্য আমাদের সরকার প্রধান বারবার বলছেন। আমরা আশা করছি, গতি বৃদ্ধি পাবে। কিছু গতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমরা আশা করি। তবে এতে আমি সন্তুষ্ট নই।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :