রাজশাহীর সাবেক এমপি তাজুল ফারুকের ইন্তেকাল

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ২৩:১৩

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টায় তার মৃত্যু হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এ সময় রাজশাহী মহানগরীর উপশহরের বাড়ি থেকে তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পরই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক ১৯৯১ সালে রাজশাহী-৫ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। নৌকা না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হননি।

পেশায় আইনজীবী তাজুল ফারুকের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তিনি ১৯৬৬ সালে পাবনার ঈশ্বরদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৬৮ সালে তিনি রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন। ১৯৬৯ এর দূর্বার গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

তাজুল ফারুক ১৯৭৪ সালে মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বে আসেন। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের দুঃসময়ে কাজ করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯০ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থনের দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরের বছরই নির্বাচিত হন এমপি। এরই মধ্যে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা ১৯৯২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পরের বছরই নির্বাচিত হন সভাপতি।

বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার প্রমুখ। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানান গভীর সমবেদনা।

ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/আরআর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :