‘ধর্ষণের পরিণতি ইহাই’, গুলিবিদ্ধ লাশের গলায় চিরকুট

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫৪ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৩

ঝালকাঠি প্রতিবেদক

ঝালকাঠির রাজাপুরে আবার ধর্ষণ মামলার এক আসামির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার গলায় একটি চিরকুটে লেখা আছে ‘ধর্ষণের পরিণতি ইহাই।’

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রাজাপুর সদর ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভাটা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার নাম রাকিব।

নিহত রাকিব পার্শ্ববর্তী জেলা পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাসিন্দা। এক স্কুলছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের মামলার আসামি তিনি।

রাজাপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মঈদুদ্দিন জানান, দুপুরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। রাজাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথায় জখমের চিহ্ন অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বুকে একটি কাগজের চিরকুট লেখা রয়েছে ‘আমি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ... ধর্ষক রাকিব। ধর্ষণের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকরা সাবধান। হারকিউলিস।’

পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকাতেই ধর্ষণ মামলার আসামিদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে যেখানে চিরকুটে একই ধরনের লেখা পাওয়া যাচ্ছে।

গত ২৬ জানুয়ারি ঝালকাঠিরই কাঁঠালিয়া থানাধীন বলতলা গ্রামে একটি ধানক্ষেতে পাওয়া যায় গুলিবিদ্ধ সজল জোমাদ্দারের মরদেহ। আর গলায় চিরকুটে লেখা ছিল,‘আমার নাম সজল…মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি।’

সেদিন নিহত সজল এবং আজ নিহত রাকিব একই মামলার আসামি।

১৮ জানুয়ারি ঢাকার আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি রিপনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’।

ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/প্রতিবেদক/ডব্লিউবি