বরিশালে ‘বিচারকের ভূমিকায়’ শিক্ষা কর্মকর্তা

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:০৫

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির শিশুকে যৌন হয়রানির বিচার করলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩০ বার জুতা পেটার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন তিনি।

অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্তকে বাঁচাতেই শিক্ষা কর্মকর্তা উপযাজক হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই ব্যক্তি স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। এই সিদ্ধান্তে ভুক্তভোগী মেয়েটির অভিভাবকসহ অন্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ দেহেরগতি রানী স্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরি) আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ওই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। গত ডিসেম্বরে ওই শিশুকে তিনি হয়রানি করেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জয়নাল হাওলাদারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়। এরপর অভিযুক্ত দপ্তরি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বুধবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম তোফাজ্জেল হোসেন বিদ্যালয়ে জরুরি সভা ডাকেন। তিনি তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে যৌনহয়রানির শিকার শিক্ষার্থীর পরিবার ও অভিভাবকরা সভা ত্যাগ করে চলে যান।

এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম তোফাজ্জেল হোসেনে বলেন, ‘দপ্তরি সালামকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে দ্বন্দ্ব ও সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমি ওই রায় ঘোষণা করেছি।’