নিখোঁজের পাঁচ দিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর গৃহবধূ রেহেনার গলা ও হাত কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বশুর আইজার রহমানকে আটক করা হয়। শুক্রবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জের গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের মদনতাইড় বিল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের মদনতাইড় বাড়ইপাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের মেয়ে রেহেনার সাথে পাশের কুড়িপাইকা গ্রামের আইজার রহমান প্রধানের ছেলে শাকিলর ছয় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর রেহেনার পিতা মেয়ের সংসার সুখের জন্য দেড় লাখ টাকা ও আসবাবপত্র দিয়ে ঘর সাজিয়ে দেয়। কিন্ত এতে সন্তুষ্ট নয় স্বামী শাকিল ও তার পরিবার। তাই আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক আনতে বিয়ের পর থেকেই চাপ দিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এরই মধ্যে এক সন্তানের জন্ম হয়। সেই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নির্যাতন সহ্য করে ঘরসংসার করতে থাকে রেহেনা। পাঁচ মাস আগে রেহেনা বাবার বাড়ি থেকে নতুন করে যৌতুকের টাকা আনতে ব্যর্থ হওয়ায় তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এর পর রেহেনা কিছুদিন করে বাবার বাড়ি ও কিছুদিন স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছিল। এরই এক পর্যায়ে গত ২৬ জানুয়ারি রেহেনা বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় স্বামী শাকিল মোবাইলে তাকে শ্বশুর বাড়িতে আসতে বলে। শ্বশুর বাড়ির দিকে রওনা দিলে সেই থেকে নিখোঁজ হয় রেহেনা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার দুপুরে মদনতাইড় বিলে স্থানীয় লোকজন গোসল করতে নামলে মরা পচা গন্ধ পায়। পরে কচুরি পানার নিচে রেহেনার গলা ও হাত কাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গৃহবধূর শ্বশুর আইজার রহমানকে আটক করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার পর থেকেই রেহেনার স্বামী শাকিল পলাতক রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

(ঢাকাটাইমস/১ফেব্রুয়ারি/এলএ)