কোনোভাবেই ‘প্রশ্নফাঁস’ সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত নেতিবাচক কোনো তথ্য নেই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে। প্রশ্ন ফাঁস রোধে তীক্ষ্ণ গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ঢাকার আশকোনার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি একথা বলেন।
গত কয়েক বছর ধরে এসএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন আগেভাগেই সামাজিক মাধ্যমে আসার অভিযোগ ছিল। তবে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন আর আসেনি। আর পরীক্ষা শুরুর দুই দিন আগে সিআইডি সংবাদ সম্মেলন করে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মুলোৎপাটনের দাবি করেছে।
শনিবার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আর গণমাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি আসেনি এখন পর্যন্ত।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে সকল নির্দেশনা দিয়েছিলাম তার সবকটি অনুসরণ করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নবাক্স খোলা হয়েছে। সারাদেশে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারে মোড়ানো প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। দেশের সকল স্থানে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
‘একেবারে প্রশ্নফাঁসমুক্ত নকলমুক্ত পরিবেশে আমাদের পরীক্ষা হোক, সেটিই তো সুষ্ঠু পরীক্ষা। এখন পর্যন্ত খুব ভালোভাবেই সেটা হচ্ছে। কোথায় কোনো ধরনের নেতিবাচক কোনো খবর আমরা পাইনি।’
প্রশ্ন ফাঁস রোধে জোরাল পদক্ষেপ আছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘গত বছরও কোনো ধরনের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এ বছর সেই প্রক্রিয়াটি আরও জোরদার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কঠোর তীক্ষ্ণ গোয়েন্দা নজরদারি চলছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে, যাদের বিরদ্ধে অপচেষ্টার অভিযোগ ছিল।’
গণমাধ্যম, অভিভাবক, শিক্ষক এবং পরীক্ষার্থীদেরও এ বিষয়ে সচেতনতার আশা করছেন মন্ত্রী। বলেন, ‘আশা করছি কেউ এ ধরনের কোনো প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হবেন না। আর কোনো চাহিদা না থাকলে কেউ প্রশ্ন ফাঁসের সাথে যুক্ত হবেন না।’
সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে উত্তরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরে পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।