কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি মন্ত্রীর
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে কৃষিখাতে ভর্তুকি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। নতুন ধানের জাতসহ উন্নত প্রযুক্তি দ্রুত কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০১৭-১৮ এর উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আলোচক হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফজলে ওয়াহেদ খোন্দকার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবির ইকরামুল হক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নূরুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর।
কর্মশালায় ‘গবেষণা অগ্রগতি ২০১৭-১৮’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) তমাল লতা আদিত্য।
পাঁচ দিন ধরে চলবে কর্মশালার বিভিন্ন কারিগরি অধিবেশন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণ কাজের অর্জন ও অগ্রগতির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালার কারিগরি অধিবেশনগুলোতে গত এক বছরে ব্রির ১৯টি গবেষণা বিভাগ ও নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা ফলাফল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সামনে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এই পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়, গত দুই বছরে একটি হাইব্রিডসহ মোট ১২টি উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে যার মধ্যে আছে ব্রি ধান৮৪, ব্রি ধান৮৫, ব্রি ধান৮৬, ব্রি ধান৮৭, ব্রি ধান৮৮, ব্রি ধান৮৯ এবং ব্রি হাইব্রিড ধান৬। নতুন উদ্ভাবিত ১২টি জাতের মধ্যে চারটি রোপা আমন, তিনটি রোপা আউশ এবং পাঁচটি বোরো মওসুমে চাষ উপযোগী। এসব জাত হেক্টর প্রতি সর্বোচ্চ ৭-৮ টন ফলন দিতে সক্ষম।
(ঢাকাটাইমস/০২ফেব্রুয়ারি/জেবি)