সাতক্ষীরায় পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা, কেন্দ্র সচিব বরখাস্ত
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল এপিসি স্কুল কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নে ৪৮ জন শিক্ষার্থীর বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা পর নতুন প্রশ্নে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব সুখলাল বাইনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শনিবার পরীক্ষা শুরুর পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর হাতে এ বছরের প্রশ্ন পৌঁছালেও ৪৮ জন পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন দেওয়া হয়। তারা এই প্রশ্নে পরীক্ষাও দেন। বেলা ১ টা বাজার কয়েক মিনিট আগে বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। পরে পরীক্ষার্থীদের সব উত্তরপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে নতুন প্রশ্নে আবার পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীন জানান, প্রশ্নপত্র বণ্টনের প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভুলের বিষয়টি সবার নজরে আসে। পরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে পরে তাদের নতুন বছরের প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও জানান তাৎক্ষণিকভাবে যশোর বোর্ডের অনুমতি নিয়ে ওই ৪৮ জনের কাছে পেঁৗঁছে দেওয়া হয় নতুন বছরের প্রশ্নপত্র। দুপুর ১ টা থেকে শুরু হয় তাদের পরীক্ষা।
ইউএনও জানান এ ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী কেন্দ্র সচিব সুখলাল বাইন। তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী কেন্দ্র সচিব আরিফুল ইসলাম।
প্রশ্নপত্র ছাত্র ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজে জড়িত আরও ১৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, পরীক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, বোর্ডের কাছে উত্তরপত্র পৌঁছালে তা মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি বলেন এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের ভীত হবার কিছু নেই। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
ঢাকাটাইমস/০২ফেব্রুয়ারি/ ইএস