৮১ নতুন বই এসেছে মেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৮

আজ বইমেলার দ্বিতীয় দিন মেলায় ৮১টি নতুন বই এসেছে। মেলা শুরু হয়েছিল সকাল আটটায়। আজ ছিল মেলার প্রথম শিশু প্রহর। সকাল থেকেই শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর ছিল বই মেলা। বেলা বাড়তে থাকলে বড়দের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। বিকাল চারটায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিজয় : ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক-গবেষক আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক-সাংবাদিক হারুন হাবীব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী এবং গবেষক মোফাকখারুল ইকবাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক।

প্রাবন্ধিক বলেন, ভাষা আন্দোলন পূর্ববাংলার মানুষকে মুক্তি ও স্বাধীনতার দিশা দিয়েছে। ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির লড়াই ক্রমশ পরিণত হয়েছে সায়ত্ত্বশাসন এবং স্বাধীনতামুখী অনিবার্য সংগ্রামে। এ অঞ্চলের চিন্তানায়ক, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘ সংগ্রামের পরম্পরায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা ও মুক্তির লক্ষ্যে বাঙালিরা যে পথে নেমেছিল সে পথ ছিল বীরত্ব, ত্যাগ, সংগ্রাম ও বিজয়ের পথ। সে পথে শেষ গন্তব্যে পৌঁছেছি আমরা নয়মাসের দীর্ঘ সংগ্রাম, অসীম ত্যাগ ও বিপুল বীরত্বের বিনিময়ে। তখন ১৬ ডিসেম্বরের শীতবিকেলের সূর্য পশ্চিম দিগন্তে লালিমা ছড়াচ্ছিল, সে আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল রমনার সবুজ চত্বরÑ আর সেই লাল-সবুজের অপরূপ আলোয় আমাদের বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ যেন বাংলার ও বঙ্গবন্ধুর জয়ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছিল।

আলোচকবৃন্দ বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের মোহনায় পৌঁছুতে সাংস্কৃতিক সংগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত ভাষা-আন্দোলনবাহিত চেতনাই আমাদের ধারাবাহিকভাবে উপনীত করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের দুয়ারে। ভাষার সংগ্রাম আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে জাতিসত্তার আত্মপরিচয় অন্বেষণে। তবে এ পথের যাত্রা কুসমাস্তীর্ণ ছিল না মোটেও। নানামুখী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বায়ান্নকে সফল করে তুলেছে একাত্তরে।

সভাপতির বক্তব্যে আহমদ রফিক বলেন, ভাষার সংগ্রাম মূলত স্বাধীনতার সংগ্রাম। ভাষা আন্দোলন চেতনার যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেছিল তারই বিচ্ছুরিত শিখায় আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বার স্বরূপ আবিষ্কার করেছি এবং আঁধার রাতের পরিধি ভেঙে সম্ভব করেছি স্বাধীনতার সুবর্ণ সকাল।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি আসাদ মান্নান এবং কবি হালিম আজাদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ইস্তেকবাল হোসেন এবং লায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী। সংগীত পরিবেশন করেন তিমির নন্দী, শিবু রায়, রুমানা ইসলাম, আলম আরা মিনু, শ্যামা সরকার। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), রিচার্ড কিশোর (গীটার), ইফতেখার হোসেন সোহেল (কী-বোর্ড) এবং মোঃ ফারুক (প্যাড)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী রুমানা আহমেদ সোমা।

আগামীকালের অনুষ্ঠানসূচি :

আগামীকাল ৩ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার তৃতীয় দিন। মেলা চলবে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকাল চারটা গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন গোলাম কুদ্দুছ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন রামেন্দু মজুমদার, মাহফুজা খানম, নাসির উদ্দীন ইউসুফ এবং আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

(ঢাকাটাইমস/২ফেব্রুয়ারি/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :