ফসলবিনাশী আর্মিওয়ার্ম: দ্রুত প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫১ | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩১

আরিফুর রহমান

ফসলবিধ্বংসী এক পোকা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। কৃষিবিদরা একে বলছেন ভয়ানক পোকা। এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এমন যে দেশজুড়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে পারে। আফ্রিকার একাধিক দেশে ইতিমধ্যে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এটি ভারতের তামিলনাড়ু ও কর্নাটক রাজ্যে দেখা গেছে। এখন শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে।

এমনই শঙ্কা জাগানিয়া খবর গতকাল ছাপা হয়েছে দৈনিক ঢাকা টাইমসে। তাতে দেখা যায়, ‘আর্মিওয়ার্ম’ নামের এই পোকা দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এর ফসলবিনাশের ক্ষমতা বিস্ময়কর। কোনো ধরনের কীটনাশক দিয়ে দমন করা যায় না পোকাটি।

সবচেয়ে বেশি ভয়ের ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের আবহাওয়া আর যে ধরনের ফসল এখানে চাষ হয়, তাতে এই পোকার বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ জায়গা। এর সংক্রমণ দেখা দিলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো ফসলের খেত ধ্বংস হয়ে যায়।

বাংলাদেশের কৃষির জন্য বিপদসংকেত দেখছেন কৃষিবিদরা। কারণ  আর্মিওয়ার্ম প্রতিরোধের জন্য উল্লেখ করার মতো কোনো প্রস্তুতি নেই বাংলাদেশের। কোনোভাবে দেশজুড়ে এ পোকার বিস্তার ঘটে গেলে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পোকা প্রতিরোধে এখনই আমাদের গবেষণাসহ অন্যান্য উপায় বের করতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খন্দকার শরিফুল ইসলাম বলেছেন তারা ইতিমধ্যে পোকাটি শনাক্ত করেছেন। গবেষণাও শুরু করেছেন। কিন্তু আরও বড় পরিসরে গবেষণা করতে হবে।

আমরা মনে করি, বড় পরিসরে গবেষণার উদ্যোগটি নিতে হবে সরকারকে। এবং এখনই। কেননা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি কার্যকর। আর্মিওয়ার্ম দেশে ঢুকেছে নিশ্চিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এটা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে সরকার নেবে বলে আমরা আশা করি।

গতকালের প্রতিবেদনে আর্মিওয়ার্ম দমনের দুটি উপায়ের কথা জানা যাচ্ছে। ওপর থেকে হেলিকপ্টারে কীটনাশক এমনভাবে ছিটাতে হবে যাতে পোকাটি মাটিতে পড়ে যায়। আর পোকা ধরে মাটিতে পুঁতে ফেলা। দুটি পদ্ধতিই যে অতি কষ্টসাধ্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাই পোকাটি ছড়িয়ে পড়ার আগেই প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য ফ্রলপ্রসূ গবেষণা যেন সম্পন্ন হয়। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যেন অগ্রাধিকার পায় সেটি দেখতে হবে সবার আগে।