ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এসএসসি পরীক্ষা বর্জন

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৯

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে পূর্বশত্রুতা ও আক্রোশের জেরে রুবাইয়াত ওয়াদুদ গল্প নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র টেনে নিয়ে বসিয়ে রাখার অভিযোগ এনে পরের পরীক্ষাগুলো বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে এক শিক্ষার্থী।

আজ রবিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বর্জনের কথা জানায় গল্প। একই সঙ্গে ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে সে।'

ইউএনও আবদুল কুদ্দুস ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও তার ক্ষতি করতে পারে আশঙ্কায় পরীক্ষা বর্জন করে গল্প।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী রুবাইয়াত ওয়াদুদ গল্প। আবদুল জব্বার কলেজ কেন্দ্রের পুরাতন ভবনের ১ নম্বর কক্ষে শনিবার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই পরীক্ষার্থী বলে, ‘পরীক্ষার শুরুতে ৩০ নম্বরের এমসিকিউর জন্য ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ ছিল। পরীক্ষার ১০ মিনিট অতিবাহিত হলে পূর্ব-আক্রোশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কুদ্দুস কেন্দ্রে এসে আমার রুমের কক্ষ পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়ে আমার এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তরপত্র টেনে নেন এবং পরবর্তী ১৫ মিনিট আমাকে বসিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে স্বল্প সময়ের মধ্যে মানসিক চাপ ও ভয়ে আমি পরীক্ষার উত্তরপত্রে কিছইু লিখতে পারি নাই। পরীক্ষার রচনামূলক অংশেও একইরূপ ভয় ও আতঙ্কে আমার সময় কাটে।’

পূর্ব-আক্রোশের কারণ হিসেবে রুবাইয়াত জানায়, উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত স্কুলের শিক্ষার্থীদের পক্ষপাতিত্ব করে পুরস্কার পাইয়ে দেয়া হয় মর্মে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল সে। ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার সঙ্গে ফেসবুকে তার বিত-া হয়। এ থেকে বিরোধের সূত্রপাত।

রুবাইয়াত গল্প অভিযোগ করে বলে, ‘এটি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে আমার অভিভাবকে হুমকি ও পরীক্ষার সময় আমাকে দেখিয়ে দেবেন বলেও হুমকি-ধমকি দিয়েছেন।’ কোনো ধরনের অসদোপায় অবলম্বন করেনি দাবি করে গল্প সংবাদ সম্মেলনে বলে, শুধু ব্যক্তি আক্রোশে তিনি (ইউএনও) আমার খাতা নিয়ে গিয়ে আমার জীবনের এত বড় সর্বনাশ করেন। তাই আমি ভয়, আতঙ্ক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কুদ্দুসের ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে চলমান পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই। সেই সাথে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে রুবাইয়াত ওয়াদুদ গল্পের বাবা শেখ ফরিদ ও মা হুমাইরা বেগম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘শুধু তারটাই (গল্প) নয়, ওই পরীক্ষায় যারা দেখাদেখির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা করেছে এমন আরও অনেক পরীক্ষার্থীর খাতা নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে ব্যক্তিগত আক্রোশ বা শত্রুতার প্রশ্নই আসে না। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে চিনিও না। এ ছাড়া পরীক্ষার মতো একটি বিষয়ে বিনা কারণে কারও খাতা টেনে নেয়ার অভিযোগ কোনো যুক্তির মধ্যে পড়ে না।’

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/মোআ)