সেই ভুয়া দুদক কর্মকর্তা রিমান্ডে
দুদকের কর্মকর্তা পরিচয়ে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া আনিসুর রহমান বাবুল (৩৬) ও তার সহযোগী বিকাশ এজেন্ট মো. ইয়াসিন তালুকদারের (২৩) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার এসআই তাপস কুমার আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগের সনাতনগড় বউবাজার ও নবীপুর লেনের একটি দোকান থেকে আনিস ও ইয়াসিনকে আটক করে র্যাব-২। ওই সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিকাশ হিসাবসহ ২১টি মোবাইল ফোন ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা ২৬টি সিমকার্ড।
পরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, চার বছর ধরে আনিসুর রহমান বাবুল কখনো দুদক চেয়ারম্যান বা কমিশনার, কখনো সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে টাকা আদায় করতেন। এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে ৪০-৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
২০১৪ সালে মাদারীপুরের রাজৈরের এক প্রতারকের মাধ্যমে বাবুল এ চক্রের সঙ্গে কাজ শুরু করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা ১৪টি বিকাশ সিমে গত ছয় মাসে ৮ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। আর পাওয়া গেছে ১০ লাখ টাকার একটি চেক।
বিকাশ এজেন্ট ইয়াসিন তালুকদারের হাজারীবাগে ৪২/১ নবীপুর লেনে সাইফুল এন্টারপ্রাইজ টেলিকম নামে একটি দোকান রয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার ১২টি বিকাশের সিমে ১ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।