রাঙামাটিতে শিশুকে ‘শ্বাসরোধে হত্যা’
রাঙামাটির কাপ্তাই রাইখালীতে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শিশুর নাম মিতালী মারমা (৯)। হত্যায় জড়িত অংবাচিংকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
শনিবার সকালে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। আটক অংবাচিং রাইখালীর বড়খোলাপাড়ার ওসাখাই মারমার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অংবাচিং মারমা রাইখালীর পূর্ব কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পরিত্যাক্ত নানার বাড়িতে থাকত। সেখানে পাঁচজন শিশুকে প্রাইভেট পড়াত।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়ানোর পর চারজনকে ছুটি দিলেও তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মিতালীকে ছুটি দেয়নি। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল মিতালী।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, চার শিশু ছুটি পেয়ে চলে যাবার পর অংবাচিং মারমা মিতালীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মিতালী চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় অংবাচিং। পরে লাশ একটি ওষুধের প্যাকেটে ভরে ঘরের সিলিংয়ে রেখে দেয়। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে অংবাচিংকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, শনিবার যখন মিতালীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন সন্দেহের তীর যায় অংবাচিংয়ের দিকে। অংবাচিংয়ের সাথে মিশে এমন তিনজন যখন রাতে অংবাচিংয়ের সাথে তার নানার বাড়িতে ঘুমানোর প্রস্তাব করে তখন প্রত্যাখ্যান করে দেয় অংবাচিং। তখন সন্দেহ আরো তীব্র হয়। এরপর তারা রাতভর আড়ালে থেকে অংবাচিংয়ের দিকে নজর রাখে। রাত ৪টার দিকে যখন অংবাচিং লাশ নিয়ে ঘর থেকে বের হয়, তখন হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, অংবাচিং হত্যায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। মিতালীর বাবা সাথোই অং মারমা বাদী হয়ে অংবাচিংকে একমাত্র আসামি করে চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা করেছে। আটক অংবাচিং থানার হাজতে রয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/এলএ)