হবিগঞ্জ হাসপাতালের দালালদের তালিকা
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের রোগী ভাগিয়ে নেয়া ২৮ দালালের তালিকা করা হয়েছে। আর এ তালিকা ধরে শিগগির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তালিকা তৈরির বিষয়টি সোমবার ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মিঠুন রায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই তালিকা হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, পুলিশ সুপার এবং সদর মডেল থানায় পাঠানো হবে। পরবর্তীতে তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। প্রতিদিনই প্রতারিত হচ্ছিলেন বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষ। দালালরা তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়ার চেষ্টায় থাকত। দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেক রোগীর প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের পৃষ্ঠপোষকতায় সক্রিয় এই দালালগোষ্ঠী।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় দালাল নির্মূলে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে ওই কমিটির কার্যক্রম। অবশেষে ৩ মাস পর প্রকাশ করা হলো ২৮ দালালের তালিকা।
দালাল নির্মূল উপ-কমিটির সভাপতি ডা. মিঠুন রায়সহ ৩ জনের স্বাক্ষরিত তালিকা অনুযায়ী দালালরা হলেন- সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামের ইউনুছ মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার সেলিম মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার শাহিন মিয়া, একই উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের অসিত দাশ, হবিগঞ্জ শহরের শংকরের মুখ এলাকার সজল দাশ, সদর উপজেলার হাতির থান গ্রামের নুরুল মিয়া, লাখাই উপজেলার বুল্লা গ্রামের সাদিকুন্নেছা, হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার ছায়া বেগম, ছোট বহুলা গ্রামের রেজিনা বেগম, ইনাতাবাদ এলাকার সিরাজ মিয়া, বড় বহুলা গ্রামের জাফর মিয়া, চুনারুঘাট উপজেলার মাসুক মিয়া, মির্জাপুর গ্রামের শাহিন মিয়া, অনন্তপুর আবাসিক এলাকার আব্দুস সালাম, একই এলাকার আব্দুল মালেক, বানিয়াচং এর সেলিম মিয়া, অনন্তপুর এলাকার আব্দুল খালেক, অসিত, উত্তরসাঙ্গর গ্রামের সুজন, একই গ্রামের চয়ন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মাছুম, লাখাইর হাছান, চুনারুঘাটের রেহেনা, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার যাত্রাবড়বাড়ি এলাকার টেনু মিয়া, বানিয়াচংয়ের মিজান, চুনারুঘাটের মাসুক ও শহরের রাজনগর এলাকার দীনুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতীন্দ্র চন্দ্র দেব জানান, তালিকাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে। শিগগির এই হাসপাতাল দালালমুক্ত হবে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, তালিকাটা এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছেনি। তালিকা পাওয়ার পর এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/ ইএস