জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধের তাগিদ ঐক্যফ্রন্টের মানববন্ধনে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫০ | প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৬

সরকার যত দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে তত গণতান্ত্রিক রাজনীতির কালো মেঘ কেটে যাবে বলে মনে করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন বিএনপিকে নিয়ে গড়া জাতীয় ঐক্যফন্টের নেতারা।

‘৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি’র প্রতিবাদে আজ বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত চলে কালো ব্যাজ ধারণ ও মানববন্ধন কর্মসূচি।

প্রতিবাদ নয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠের আন্দোলন গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম রব বলেন, ‘আজকে কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রতিবাদ করছি। এভাবে আর নয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ঐক্যফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’

ঐক্যফ্রন্ট ছিল, আছে, থাকবে- উল্লেখ করে জেএসডি নেতা সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এসব মামলা প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়াসহ সবার মুক্তি দিতে হবে।’ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে প্রহসন ও গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রব বলেন, ‘নির্বাচনে ডাকাতি করে আজ উৎসব চলছে। দেশের সব প্রতিষ্ঠান দল ও ব্যক্তির অধীনে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র আজ ধ্বংস। সব লুট হয়ে গেছে।’ সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বরেণ, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির সব উলঙ্গ করা হবে।’

মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর রাতেই নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা নির্বাচন বাতিল চেয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে দাবি করেছি। দেশের মানুষ কখনোই অন্যায় মেনে নেয়নি। আবারও মানবে না।’

সরকারকে নির্লজ্জ আখ্যা দিয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও এ ধরনের সরকার আর নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এক কান কাটা গিয়েছিল। এবার তার পূর্ণতা পেয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের লাশ বানিয়ে তার ওপর নর্তন-কীর্তন করছে। মিথ্যা মামলায় নিপীড়িতদের কান্নায় কান্নায় সরকারের পতন হবে।’

দেশের অবস্থা মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্যের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর যেহেতু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি তাই দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন আদায় করতে হবে।’ সব রাজনৈতিক দলকে এ দাবি আদায়ে সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

গত ৩১ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সভা শেষে জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ও ভুক্তভোগী ভোটারদের অংশগ্রহণে ২৪ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে গণশুনানির আয়োজন করবে জোট।

মানববন্ধনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৬ফেব্রুয়ারি/জিএম/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি নেতা হাবিব কারাগারে

উপজেলা নির্বাচন সরকারের আরেকটা ‘ভাঁওতাবাজি': আমীর খসরু

বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বেড়েই চলছে: ড্যাব 

দেশের প্রতিটি গুমের পেছনে আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: রিজভী

বিএনপিকে প্রতিহত করে বিজয় সুসংহত করতে হবে: ওবায়দুল কাদের 

উপজেলায়ও সমঝোতা চায় ১৪ দল, জয় নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :