মৃত নবজাতক নিয়ে বীভৎসতা

সংশোধনাগারে ৪ কিশোর, কারাগারে ১

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অলৌকিক শক্তি পেতে মৃত নবজাতককে সমাধিস্থল থেকে তুলে গলা কেটে আরাধনা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজনের একজনকে কারাগারে এবং অপর চারজনকে কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবিবের আদালত এ আদেশ দেন। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় রুদ্রকুর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর হওয়ায় শিশু আইন অনুসারে সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানো অন্য চারজন হলেন- শুভংকর চন্দ্র রায়, বিপুল দাস, রনক দে এবং বিজয় দে। শুনানিকালে তাদের পক্ষে পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিল না।

মামলায় বলা হয়, পুরান ঢাকার ঠাঁটারিবাজার কবিরাজ গলির একটি বাসায় থাকেন হিন্দু দম্পতি রবীন্দ্র সাহা ও সবিতা রানী। গত সোমবার গ্রীন রোডের গ্রীনল্যাব হাসপাতালে সবিতা কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। নবজাতকটি জন্মের এক ঘণ্টা পরই মারা যায়। পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুসারে নবজাতকটিকে রাতেই পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে সমাহিত করা হয়।

ওই রাতেই উল্লেখিত আসামিরাসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন শ্মশানঘাটে গিয়ে শিশুটিকে সমাধি থেকে তুলে জবাই করে সিদুর ও চন্দন দিয়ে পূজা শুরু করে। বিষয়টি আশপাশের লোকজন বুঝতে পেরে চিৎকার করলে কর্তব্যরত একজন আনসার সদস্যসহ স্থানীয়রা পাঁচজনকে আটক করেন। এজাহারভুক্ত শুভসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শ্মশানঘাটের মোহরার পলাশ চক্রবর্তী দণ্ডবিধির ২৯৫ ও ২৯৭ ধারায় মামলাটি করেন।

ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/আরজেড/এআর/ডিএম