কর্মচারীকে ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক’ বানাল হাসপাতাল
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদনবিহীন একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখতেন একজন টেকনিশিয়ান। তার প্রকৃত পরিচয় ওই হাসপাতাল জানত। কিন্তু তারাই রোগীর কাছ থেকে পয়সা আদায়ে এই অন্যায় করে আসছিল।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে র্যাব-১১ এর একটি দল হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাকে ছয় মাসের কারদণ্ডের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এম হোসেন জেনারেল হাসপাতালটি।
র্যাব-১১ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার সময়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কদমতলী পুল এলাকায় হাসপাতালে অভিযান চালায় তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ধরা পড়েন ফাহমিদা আলম।
ফাহমিদা আলম স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন। নামের পাশে ডিগ্রি হিসেবে যোগ করেছেন এমবিবিএস, পিজিটি (গাইনি অ্যন্ড অবস), এমসিএইচ (ডি এস এইচ) সিএমইউ, ডিএমইউ (মেডিসিন)।
সনোলজিস্ট হিসেবেও চিকিৎসাপত্রের ফরমে নাম আছে ফাহমিদার। অর্থাৎ তিনি আল্ট্রাসাউন্ড বিষয়ে অভিজ্ঞ বলে দাবি কেেরছন।
অভিযান চলাকালে র্যাব সনদ দেখতে চাইলে ফাহমিদা তা দেখাতে পারেনি। পরে স্বীকার করেন, তিনি একটি ডিপ্লে¬ামা কোর্স করে ওই হাসপাতালে আল্ট্রাসনো বিভাগে টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি নেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজসে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন।
র্যাব-১১ জানায়, এই ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তারা সেখানে অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম। তার আদেশে এম হোসেন জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঢাকাটাইমস/০৬ ফেব্রুয়ারি/এএ/ডব্লিউবি