পরিবহন খাতের করুণ চিত্র হাইকোর্টকে জানাল বিআরটিএ

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৫ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রতি তিনটি বাসের একটির ফিটনেস সনদ নেই বলে হাইকোর্টে দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ। প্রতি দুটি বাসের একটি (৫৬ শতাংশ) বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সনদ নেই বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ১৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করে বিআরটিএ।  সংস্থাটির আইনজীবী রাফিউল ইসলাম এটি আদালতে জমা দেন।

গত ৩১ জুলাই হাইকোর্ট ১৬ সদস্যের একটি কমিটি করে সারাদেশের পরিবহনগুলোর ওপর একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এটি তৈরি করা হয়।

তানভীর আহমেদ নামে একজন আইনজীবী এই রিট করেছিলেন। তিনি আদালতে জানান, মানিকগঞ্জের জোঁকা মোড়ে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনির,তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব এবং সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া বাসের ফিটনেস ছিল না।

পরে ফিটনেসহীন যান চলাচল বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।  আর এই যানবাহন চলাচলে সরকারি কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের (বিআরটিএ) পরিচালক, বিআরটিএ ইনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও পুলিশের আইজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

হাইকোর্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৪ শতাংশ যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না, ৪১ শতাংশ যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রক সিল ছিল না, ২৭ শতাংশ যানবাহনের গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ নেই, ৩০ শতাংশ যানবাহনের সিগন্যাল লাইট নষ্ট, ২৯ শতাংশ যানবাহনের ব্রেক লাইট কাজ করে না।

তবে জরিপের ৮০ শাতাংশ যানবাহনের চেসিস, ৯৬ শাতাংশ যানবাহনের চাকার রাবারিং, ৯৫ শতাংশ যানবাহনের হেডলাইট, শতভাগ যানবাহনের ব্রেক, ৯৬ শাতাংশ যানবাহনের স্টিয়ারিং, ৮০ শতাংশ যানবাহনের স্পিডোমিটার, ৮৩ শতাংশ যানবাহনের টেম্পারেচার গজসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহনের দরজা-জানালা ‘ভালো’ অবস্থায় ছিল।