শিশু খুনে যুবকের ফাঁসি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাবুল হোসেন নামে শিশুকে হত্যার দায়ে এক যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তার এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মামলাটিতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছেন আরও নয় জন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এই আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম খাইরুল ইসলাম। তিনি কুমারখালী উপজেলার কোমরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ওমেদ আলীর ছেলে। ফাঁসির দণ্ড ছাড়াও রায়ে তার এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে খাইরুলের চাচাতো ভাই সামাদ প্রামানিকের ছেলে মো জিকুর এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি আটজনকে তিন মাস করে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- খাইরুলের ভাই ফারুক হোসেন ও তার বাবা ওমেদ প্রামানিক, চাচা আছান প্রামানিক, আবুল কাশেম, ওছেল প্রামানিক, আতিয়ার রহমান, সদর উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম, জুমারত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় পলাশ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। পলাশের উপর হামলা করতে গেলে ঠেকাতে যান তার ছেলে বাবুল হোসেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলা করতে গুরুতর আহত হয় সে। দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত. ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আকরাম হোসেন দুলাল জানান, তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কুমারখালী থানা পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় সব আসামিই উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা টাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর