বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সদস্য হলো সামিট করপোরেশন

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রথম বাংলাদেশি সংস্থা হিসেবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সদস্য হলো দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এবং বৃহত্তম স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সামিট করপোরেশন।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

ফোরামের সদস্যরা বিশ্বের হাতেগোনা সেইসব প্রতিষ্ঠান যারা পৃথিবীর সেরা উদ্ভাবক, নতুন বাজার সৃষ্টিকারী, সৃজনশীল সমাধানের উপস্থাপক, বিশেষায়িত এবং আঞ্চলিক বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো উঠতি অর্থনীতিতে তাদের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে সাহায্য করে যাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা নিজ নিজ শিল্পে এবং অঞ্চলে নেতৃত্ব দিবেন বলে আশা করা যায়।

 

সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, “বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং দ্রারিদ্র বিমোচনে। আমার বিশ্বাস, সামিটের সদস্যপদের মাধ্যমে আমরা অন্যান্য ফোরাম সদস্যদের একটি সুযোগের দ্বার উন্মোচন হলো, এই প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের এবং উন্নতি সাধন করবার।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে অংশগ্রহণ করেছেন এবং নিউইয়র্কে ফোরাম আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইমপ্যাক্ট সামিট ২০১৮’-এ সহ-সভাপতিত্ব করেন।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম কী?

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম একটি স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক সংস্থা যা ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক, শিক্ষা এবং সমাজের অন্যান্য গূরুত্বপূর্ণ সূচকের উন্নতির মাধ্যমে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং শিল্পখাতের আলোচ্য বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং এর প্রধান কার্যালয় জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম কোন রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক বা জাতীয় স্বার্থের সাথে সংযুক্ত নয়।

সামিট করপোশেন

সামিট করপোরেশন মূলত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি, শিপিং, বন্দর এবং ইন্টারনেট যোগাযোগের মূল কাঠামো-ফাইবার অপটিকস খাতে ব্যবসা করে। বর্তমানে সামিট ২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১,৯৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে যা বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতে মোট স্থাপিত ক্ষমতার ২১ শতাংশ। সম্প্রতি সামিট, জিই এবং মিতসুবিশির সাথে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। সামিট বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি কোম্পানি হিসেবে কক্সবাজারের মহেশখালিতে ফ্লোটিং স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল (এফএসআরইউ) স্থাপন করছে। সামিট টানা পাঁচবার  দেশের সেরা বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/ইএস