ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের শোডাউন

ঢাবি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:০০ | প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২২

কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের কয়েক শ নেতাকর্মীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা গেছে। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিতে বৃহস্পতিবার তারা ক্যাম্পাসে আসেন। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে আসতে পেরে প্রায় ১০ বছর ধরে ক্যাম্পাসে কোণঠাসা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বসিত দেখা যায়। তাদের অনেকেই মোবাইল ফোনে ছবিও তোলেন।

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছে ছাত্রদল। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনায় যোগ দেন ছাত্রদলের দুই নেতা। ওই দিন তারা প্রক্টরিয়াল বডির পাহারায় ওই বৈঠকে যোগ দেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী

তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকী কয়েক শ নেতাকর্মী নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। ছাত্রদলের শীর্ষ চার নেতা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলেও বাকিরা ছিলেন বাইরে।

স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা ভিসি চত্বর, টিএসসি, চারুকলা হয়ে হেঁটে শাহবাগ যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাননীয় উপাচার্য আমাদের দাবিগুলো আন্তরিকভাবে শুনেছেন এবং আমাদের দাবির যৌক্তিকতা ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের যৌক্তিক দাবি প্রশাসন মেনে নেবে এবং সবার অংশগ্রহণে একটি কার্যকর ডাকসু নির্বাচন হবে।’

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তিন মাস আগে সহাবস্থানের বিষয়ে রাজিব বলেন, ‘সহাবস্থান যদি কার্যকর করতে হয় তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের দরকার। আজকে সহাবস্থান দিয়ে কালকে এটাকে কার্যকর বা স্থায়ী বলা যাবে না। তাছাড়া ডাকসুকে কেন্দ্র করে সহাবস্থান নয়, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর একটি স্থায়ী সহাবস্থান থাকুক।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক সংগঠন ছাত্রলীগের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ছাত্রদল। ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি ছাত্রদল ঢাবি ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ছাত্রলীগের হামলার মুখে পড়ে। পরের বছর একবার মিছিল করার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ডাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের ডাকা উন্মুক্ত আলোচনায় যোগ দিয়ে ছাত্রলীগের ধাওয়ার মুখে পড়েন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তবে গেল বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানের আলিঙ্গনের বিরল দৃশ্য দেখা যায়।

ছাত্রদলের স্মারকলিপি পাওয়ার পর উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, ডাকসুর জন্য নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র রয়েছে এবং একটি আচরণবিধি প্রণীত হয়েছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি অনুসরণ করে ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গঠনতন্ত্রের বিধিবিধান এবং আচরণবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই, তারা যেন পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে যত্নশীল থাকে।’

ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :