ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাহস নেই: কাদের

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সাহসের অভাব আছে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, সংকটে ঝুঁকি এবং সাহস না থাকলে কোনো দল এগিয়ে যেতে পারে না।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা।

এক প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘রাজনীতি যখন সংকটে ঝুঁকি এবং দুঃসময়ে তখন যে নেতাদের ঝুঁকি নেয়ার সাহস নাই তারা কোন দিনও দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। এই দলের ভবিষ্যত অন্ধকার।’ 

বিএনপি এখন কোন ইস্যুতে আন্দোলনের ডাক দিলে জনগণের সাড়া পাবে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘কারণ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের জন্য দেশে বিদেশে তারা ইমেজ সংকটে রয়েছে। তাদের এখন প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে ইমেজ সংকট দূর করা।’

‘ইমেজ সংকট কাটিয়ে না উঠলে জনগণ তাদের আন্দোলনের ডাকে সাড়া দেবে না। কালো ব্যাচ, কালো পতাকা এবং মানববন্ধনের ডাক দেবে। কিন্তু এতে কোন সাড়া পাওয়া যাবে না। এসব নিয়েই তাদের থাকতে হবে।’

‘আওয়ামী লীগ কি একদলীয় স্বৈরাচারী পার্টি নাকি?’

এ সময় আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা। ক্ষমতাসীন দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে সুপারিশে যোগ্য প্রার্থীদের নাম আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যে সকল অভিযোগ এসেছে তা আমরা খতিয়ে দেখব। মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলের রিপোর্ট ছাড়াও তিনটি সংস্থার সার্ভে রিপোর্ট থাকবে সেগুলো আমরা মিলিয়ে দেখব।’

‘অকারণে ক্ষোভ হলে তো হবে না। জোর করে তো আমরা মনোনয়ন দেব না।’

বিপুল সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশা কি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কি না- এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কি একদলীয় স্বৈরাচারী পার্টি নাকি? আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে তো গণতন্ত্রের চর্চা রয়েছে। প্রার্থী যত বেশি হবে তত অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাটা বিকশিত হবে। এতে বহুমতের প্রকাশ ঘটবে। গণতন্ত্রের ভীত আরও শক্তিশালী হবে।’

‘এই মুহূর্তে বহু প্রার্থী নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নাই। কারণ, আমরা প্রার্থিতা ওপেন করে দিয়েছি। সবাই প্রার্থী হতে পারবে। দেওয়া না দেওয়া সেটা দলের সিদ্ধান্ত। কিন্তু চাওয়ার অধিকার থেকে আমরা তাদের বঞ্চিত করতে পারি না। মনোনয়ন বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত কারা মানছে, কারা মানছে না সেটাই হলো দেখার বিষয়।’

উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কতটি ফরম বিক্রি হয়েছে- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কত হয় এখনতো বলতে পারছি না। কালকে (বুধবার) পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি পৌনে তিনকোটি টাকার ফরম বিক্রি হয়েছে। মনোনয়ন বোর্ডের বসার আগেই পুরো হিসবাই আপনাদের জানাব।’

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/টিএ/ডব্লিউবি