ঢাকার চতুর্থ না কুমিল্লার দ্বিতীয়?

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:০৯

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের পর্দা নামবে আজ। ফাইনাল ম্যাচে সন্ধ্যায় সাকিব আল হাসানের দল ঢাকা ডায়নামাইটসের মুখোমুখি হবে ইমরুল কায়েসের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়।

ঢাকা এর আগে বিপিএলে চারবার ফাইনালে উঠে তিনবার শিরোপা জিতেছে। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছিল ঢাকা গ্লাডিয়েটরস। ২০১৩ সালে দ্বিতীয় আসরেও শিরোপা ঘরে তুলেছিল ঢাকা। সেবারও ঢাকার অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে প্লে-অফ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল ঢাকা। চতুর্থ আসরে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে ঢাকা। পঞ্চম আসরে ফাইনালে উঠলেও রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ঢাকাকে।

অন্যদিকে, বিপিএলে ২০১৫ সালে প্রথবারের মতো আগমন ঘটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথমবার খেলতে এসেই মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে শিরোপা জয় করে কুমিল্লা। কিন্তু ২০১৬ সালে লিগ পর্ব থেকে বাদ পড়ে তারা। আর ২০১৭ সালে প্লে-অফ পর্ব থেকে বিদায় নেয় কুমিল্লা।

ঢাকা ও কুমিল্লা দুইটি দলই অনেক শক্তিশালী। পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছিল কুমিল্লা। এরপর প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে তারা ফাইনালে ওঠে। অন্যদিকে, বাদ পড়ার শঙ্কা থাকলেও অনেক কষ্টে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ঢাকা। এরপর এলিমিনেটর ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে সাকিব আল হাসানের দল।   

ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘দেখুন নার্ভ ধরে রাখতে পারাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে যারা যতো বেশি মাথা ঠাণ্ডা রাখবে এবং যারা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারবে তারাই জয় পাবে। বেশি এক্সাইটমেন্ট থাকলে আসলে সাফল্যের সুযোগটি কম থাকে। দলের মিটিংয়েও আমরা এই আলোচনা করেছি। একদিন অনুশীলন করে সবকিছু পরিবর্তন করা যায় না কিংবা একদিনের অনুশীলনে পরিবর্তন হবে না। আমার কাছে মনে হয় ফাইনাল ম্যাচে সবাই অনেক উত্তেজিত থাকবে। তবে আমরা যতোটুকু মাঠে উপভোগ করতে পারব সেটা ঠিকমতো করতে পারলে আমার মনে হয় সাফল্যের সুযোগটি বেশি থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘লিগ পর্বে ঢাকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে আমরা দুইটিতেই জিতেছি। আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। কারণ একটি দলকে যখন দুইবার হারাবেন তখন প্রতিপক্ষ দলই বেশি চিন্তা করবে। আমাদের জন্য এটাই ইতিবাচক দিক।’

(ঢাকাটাইমস/৮ ফেব্রুয়ারি/এসইউএল)