#মিটু নিয়ে মুখ খুললেন মাধুরী

ধর্ষণের অভিযোগ মাথায় নিয়ে একপ্রকার মুখ লুকিয়ে রয়েছেন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা অলোক নাথ। প্রযোজক ও লেখিকা বিনতা নন্দার অভিযোগের জেরে সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এবং ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (এফডব্লিউআইসিই) থেকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি।

একটু দেরিতে হলেও সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন নব্বইয়ের দর্শকের সুপারহিট নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। ‘হাম তুমহারে হ্যায় সানম’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন এবং ‘জামাইরাজা’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে তিনি অলোক নাথের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু সেই অলোকের সঙ্গে আজকের অলোককে কিছুতেই মেলাতে পারছেন না অভিনেত্রী।

যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে মাধুরীর ‘গোলাব গ্যাং’ ছবির পরিচালক সৌমিক সেনের বিরুদ্ধেও। অলোক-সৌমিক দুজনেই নায়িকার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের কথা শুনে হতবাক হয়ে মাধুরী বলেছেন, ‘চেনা মানুষের অচেনা দিকের সঙ্গে পরিচিত হওয়া মোটেই সুখকর নয়।’

মাধুরীর আরো বলেন, ‘ব্যাপারটা শকিং। কারণ প্রথমে মনে হবে, এদের তুমি চেনো কিন্তু এভাবে চেনো না। মনে হবে যে লোকটাকে তুমি চিনতে আর যার সম্পর্কে খবরে পড়ছো সেই দুজন আলাদা মানুষ।’ অলোক ও সৌমিকের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ সম্পর্কে জেনে বেশ অস্বস্তির মধ্যে পড়েছিলেন বলেও জানান এক সময়ের সুপারহিট নায়িকা মাধুরী।

#মিটু ব্যবহার করে বিনতা নন্দা অলোকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন গত অক্টোবরের শুরুতে। অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে ‘তারা’ নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করতেন অলোক। সেটির লেখিকা ও প্রযোজক ছিলেন বিনতা। সে সময় নাটক ও সিনেমায় অলোক ‘সংস্কারি’ চরিত্রে অভিনয় করতেন। যার কারণে তার ভেতরের চরিত্র কেউ জানতেন না। এই সুযোগে তিনি বিনতাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিলেন।

এই অভিযোগে গত ২১ নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় অলোক নাথের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওসিওয়াড়া থানায় মামলা করেন বিনতা নন্দা। পরে অভিনেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করে মুম্বাই পুলিশ। কিন্তু সে সময় দুই দফায় তার বাড়িতে গিয়ে অভিনেতার দেখা পায়নি পুলিশ। পরে তাকে দেখামাত্র গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর অবশ্য অভিনেতা নিজে পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন এবং জামিন পান।

ঢাকাটাইমস/০৮ ফেব্রুয়ারি/এএইচ