নেত্রকোণায় শ্মশানের প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৬

নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহেরবাংলা মহা-শ্মশানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

পক্ষ দুইটির মধ্যে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন একটি পক্ষে, আর অপর পক্ষে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জিল মিয়া। মঞ্জিল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শত বছরের পুরোনো এই মহাশ্মশানের জায়গা দখলে নিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

শুক্রবার সকালে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশান ঘাটের জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে মঞ্জিল মিয়ার লোকজন বাধা দেন। এতে করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় এলাকার মুসলমান সম্প্রদায়ের বেশকিছু গণ্যামান্য ব্যক্তি হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাশ্মশানের জমি দখলে নিতে মঞ্জিল মিয়া সেখানে একটি মাদ্রাসা স্থাপন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোরও অপচেষ্টা করেছেন। তখন এলাকার মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন এগিয়ে এসে মাদ্রাসা স্থাপনে বাধা দিয়ে মঞ্জিল মিয়ার চক্রান্ত রুখে দেন।

শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক রূপন সরকার জানান, সিংহেরবাংলা এলাকাবাসী ১৯১২ সাল থেকে রেলওয়ের ৩৫ শতক ভূমিতে শ্মশানঘাট হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রেলের অস্থায়ী কর্মচারী শাহাজাহান মিয়া ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে শ্মশানের স্থানটি ইজারা নেয়ার দাবি করেন। পরে এর কিছু অংশ ভূমি সিংহেরবাংলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মঞ্জিল মিয়ার ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি নিয়ে শ্মশান কমিটি গত বছর রেল মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। রেল বিভাগ ওই সম্পত্তিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাশ্মশান হিসেবে ব্যবহারের লিখিত অনুমতি দেয়। পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষ ওই সম্পত্তির ওপর নির্মিত দখলদারদের বেশ স্থাপনাও উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর থেকে মঞ্জিল মিয়াসহ দখলদাররা প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ায় আবারও সম্পত্তিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। শ্মশানঘাটে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালাতে থাকে। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে পুলিশ কয়েক দখলদারকে আটক করলে তারা ওই সম্পত্তিতে আর প্রবেশ করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।

মঞ্জিল মিয়ার সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল জানান, শ্মশানের সীমানা প্রাচীর নিয়ে উত্তেজনার খবর পেয়ে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি সমঝোতার জন্য সোমবার উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।

(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :