বই মেলায় পুলিশের বই

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:১৫

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপিরও একটি স্টল রয়েছে। এই স্টলে কেবল শুধু পুলিশ সদস্যদেরই বই পাওয়া যায়। স্টলে রয়েছে ২০০ বেশি পুলিশ সদস্যদের বই।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের ৭৮ থেকে ৭৯ নম্বর স্টল হলো ডিএমপির। এখানকার ক্রেতাদের বেশির ভাগই পুলিশের সদস্য।

স্টলে দয়িত্বে থাকা নায়েক কামরুল হাসান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দুই শর বেশি (২০০) লেখকের ২৫০টির ওপর বই আছে আমাদের স্টলে। এ বইগুলো বিভিন্ন প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। বইগুলো ২৫ শতাংশ ছাড়ে আমাদের স্টলে বিক্রি করছি।’

‘বই বিক্রিই আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। মূলত জনগণকে পুলিশ আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া ও পুলিশের কর্মকা- সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দিতেই আমাদের এ স্টল নেওয়া। জরুরি মুহূর্তে পুলিশের সহায়তা কীভাবে নিতে হবে সে সম্পর্কেও ধারণা দিচ্ছি আমরা।’

ডিএমপির স্টলে এবার ১০টির বেশি নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো: ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মোশতাক আহমেদের ভৌতিক উপন্যাস রক্তনেশা, সায়েন্স ফিকশন ‘গামা’, কিশোর গোয়েন্দার বই ‘খুলিবাবা’ এবং ‘কানা দস্যু’, ডিআইজি তওফিক মাহবুব চৌধুরীর ‘আমি জানি তুমি মিথ্যা বলছো’, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ অমি চৌধুরীর ‘পুলিশ একাডেমি সারদা ও ৭১ এর প্রতিরোধ যুদ্ধের ইতিহাস’, উপপুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমানের ‘যে গল্প হয় না লেখা’।

মোশতাক আহমেদ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি লেখায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ পেয়েছেন। এত ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে বই লেখা হয় এমন প্রশ্নে ঢাকা টাইমসে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন দুই ঘণ্টা না লিখলে কাজে মন বসে না। আমি মনে করি লেখালেখিটা আসলে মন থেকে আসে। সবার মধ্যেই কম বেশি লেখালেখি যোগ্যতা থাকে। কেউ প্রকাশ করতে পারেন, কেউ পারেন না। যারা প্রকাশ করতে পারেন তারাই লেখক হন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাকিব হাসান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘পুলিশের এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা করার মতো। এত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁরা বই কীভাবে লিখেন, সেটা ভেবে অবাক লাগে।’

(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/জেআর/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :