রাজনীতি নিষিদ্ধ নোবিপ্রবিতেও ভোটের দাবি
ছাত্র ও শিক্ষকরাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের জন্য আশার খবর হলো, উপাচার্য অহিদুজ্জামানও এই দাবির ক্ষেত্রে একমত।
আগামী ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আরও উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
তবে প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য আবুল খায়েরের আমলে রাজনীতি বন্ধ থাকলেও দ্বিতীয় উপাচার্য সঞ্জয় কুমার অধিকারীর সময়ে শিক্ষক সমিতি গঠন করার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতির সূচনা ঘটে। তবে শিক্ষকরাজনীতি চালু হলেও দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ছিল।
২০১৭ সালের অক্টোবরে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির আত্মপ্রকাশ ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। তবে অন্য কোনো সংগঠনের দৃশ্যমান তৎপরতা নেই। ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ ওঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিন্টু মল্লিক বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলা এবং সেগুলোর সমাধানে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রয়োজন। একমাত্র ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমেই এই নেতৃত্ব উঠে আসে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নোকসু চাই।’
আরেক শিক্ষার্থী রোকসানা আফতাব রুহী বলেন, ‘আমি মনে করি, ডাকসুর মতো নির্বাচন নোবিপ্রবিতে হলে সব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। যেহেতু শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই একজন প্রতিনিধি থাকবেন, সেহেতু ছাত্রছাত্রীদের কোনো যৌক্তিক চাওয়া আড়ালে থাকবে না, যদি তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হন। আর সুস্থ রাজনীতির চর্চা এবং প্রসারের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র সংসদ।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ধ্রুব বলেন, ‘পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দিন বন্ধ থাকার পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার চালু হতে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ছাত্র সংসদের যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হোক, সেটি নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ চায়।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্টুডেন্ট ইউনিয়নের অনুমতি নেই। তবে ইউজিসিতে নতুন অর্গানোগ্রাম জমা দেওয়ার সময় ছাত্র সংসদ কেন্দ্র নামে একটি ভবনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে চিন্তা করে নির্বাচন দেওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা দাবি তুললে আর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকলে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’