চাঁদপুর হাসপাতালে নেই গাইনি চিকিৎসক, ভোগান্তি

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৭

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর

চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গর্ভবতী মায়েদের একমাত্র আস্থার কেন্দ্র। কিন্তু বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রসূতিসেবায় কার্যত ফল পাচ্ছেন না রোগীরা।

প্রায় এক মাস ধরে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছাড়াই চলছে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কার্যক্রম। গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগে কর্মরত সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) দুজনই রয়েছেন ছুটিতে। তাদের মধ্যে একজন পিআরএলে, অপরজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন।

এতে করে একদিকে এই বিভাগে দক্ষ চিকিৎসকের সমস্যায় ভুগছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, অন্যদিকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা পড়ছেন দুর্ভোগে। সমস্যার দ্রুত সমাধান না করলে হাসপাতালে অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। 

হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা হয়। তারা ঢাকা টাইমসকে জানান, গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালটেন্ট ছুটিতে আছেন। এতে করে ডেলিভারি, চেকআপ, রেপ কেইস, পিএনসি, এএনসির মতো রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ারুল আজীম ঢাকা টাইমসকে জানান, গাইনি বিভাগে কর্মরত সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ফাতেমা বেগম গত ১ জানুয়ারি থেকে অবসরজনিত পিআরএল ছুটিতে রয়েছেন। আর জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) তাবেন্দা আক্তারও গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন।

বর্তমানে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে নুসরাত জাহান ও মেডিকেল অফিসার হিসেবে নাসরীন পারভীন রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। আমরা এই বিভাগে জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদে ডাক্তার নিয়োগ চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

তত্ত্বাবধায়ক জানান, এই হাসপাতালে চিকিৎসকের উপস্থিতি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ৪৬ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৪২ জন উপস্থিত হয়েছেন। আর বাকি চারজন নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন। বর্তমানে আন্তবিভাগে ২৯২ জন রোগী ভর্তি আছেন এবং ২৭৬ জন রোগী জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।